রবিবার সকালে বিকট শব্দে কেঁপে উঠল উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুর। বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে মৃত্যু-মিছিল। বিস্ফোরণের জেরে বহু জনের মৃত্যুর আশঙ্কা। প্রশাসনের নাকের ডগায় দিনের পর দিন ধরে বেআইনি বাজি তৈরি রমরমা কারবার চলছিল বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। পুলিশ জেনেও আগে কোনও পদক্ষেপ করেনি বলে অভিযোগ। বিস্ফোরণের জেরে আশেপাশের বেশ কয়েকটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত।
Advertisment
এগরার পর দত্তপুকুর। রবিবার বিকট শব্দে বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুর। বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফেরাণের তীব্রতায় আশেপাশের বেশ কয়েকটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘটনার সময় বাজি কারখানার ভিতরে ছিলেন শ্রমিকরাও। মারাত্মক বিস্ফোরণে ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছে বেশ কয়েকটি দেহ।
খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে আসে বিশাল পুলিশবাহিনী। আনা হয় RAF, দমকল। শুরু হয় উদ্ধারকাজ। এদিকে, এই ঘটনার জেরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশের সামনেই চলে প্রবল বিক্ষোভ। বাজি কারাখানা থেকে এখনও পর্যন্ত ৮টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্থানীয়দের দাবি, বিস্ফোরণের জেরে কমপক্ষে ১৫-২০ জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছেন আরও অনেকে। বিস্ফোরণের জেরে বেশ কয়েকটি দেহ ছিন্ন ভিন্ন হয়ে গিয়েছে। জখমদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিন শিশুও গুরুতর জখম হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এলাকাবাসীদরে অভিযোগ, প্রশাসনের নাকের ডগায় দিনের পর দিন ধরে বেআইনি একাধিক বাজি কারখানা চলছে দত্তপুকুরে। সব জেনেও কোনও পদক্ষেপ করেনি পুলিশ। এলাকায় বেআইনি বাজির রমরমা কারবার নিয়ে এর আগে পুলিশে অভিযোগ জানিয়েও ফল মেলেনি বলে দাবি স্থানীয়দের। উল্টে তাঁদেরই হুমকির মুখে পড়তে হয়েছে বলে দাবি।
ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এক্সপ্রেস ফটো: শশী ঘোষ।
এর আগে পূর্ব মেদিনীপুরের এগারাতেও একইভাবে বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। সেই ঘটনায় ১২ জনের মৃত্যু হয়। তারই সাড়ে ৩ মাসের মাথায় এবার সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরে। বেআইনি বাজির কারবার রুখতে পুলিশি তৎপরতা বড়সড় প্রশ্নের মুখে পড়েছে।