Advertisment

রবিবারে ভর দুপুরে প্রবল বিস্ফোরণে উড়ল বাড়ির চাল, অল্পের জন্য রক্ষা মা-সন্তানের

Maldah Blast: পরিবারের অভিযোগ, ‘জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরে বাইরে থেকে কেউ বোমা মেরেছে।‘

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
ভয়াবহ বিস্ফোরণে কাঁপল বাড়ি, ছিন্নভিন্ন ৩ জনের দেহ, নোদাখালিতে ব্যাপক আতঙ্ক

প্রতীকী ছবি।

Maldah Blast: রবিবার দুপুরে প্রবল বিস্ফোরণে মালদহের চাঁচলে উড়ল গৃহস্থ বাড়ির চাল। অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন গৃহকর্ত্রী এবং তাঁর মেয়ে। বিস্ফোরণের অভিঘাতে কেঁপে ওঠে আশপাশের বাড়িও। যদিও পরিবারের অভিযোগ, ‘জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরে বাইরে থেকে কেউ বোমা মেরেছে।‘ তবে পুলিশ এই অভিযোগের সত্যতা খতিয়ে দেখছে। এদিন দুপুরে এই বিস্ফোরণ ঘটেছে অলসিয়াটলা গ্রামে। তীব্রতায় লণ্ডভণ্ড বাড়ির আসবাব, রান্নাঘর এবং উড়ে গিয়েছে রান্নাঘরের চাল। বিস্ফোরণের অভিঘাতে সাময়িক জ্ঞান হারান গৃহকর্ত্রী। তবে নিরাপদে রয়েছে তাঁর শিশু সন্তান।

Advertisment

বাড়ির মালিক বলেছেন, ‘পড়শির সঙ্গে জমি বিবাদ চলছে। তাঁরাই মেরেছে কিনা বলতে পারছি না। ঘটনার সময় বাড়িতে স্ত্রী এবং সন্তান ছিলেন। আমি ফোন পেয়ে এসেছি।‘ এদিকে, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে। বাড়িতে মজুত কোনও বোমা ফেটে এই দুর্ঘটনা কিনা, তদন্ত করে দেখা হবে।   

এদিকে, রাজ্যে এখন একটাই শিল্প বোমা শিল্প। এভাবেই দুষে চলেছে বিজেপি। একুশের ভোট পরবর্তী রাজ্য রাজনীতিতে এভাবেই সরব হয়েছিল পদ্ম শিবির। ভোট পরবর্তী হিংসা এখনও বহাল রয়েছে রাজ্যে, এমনই অভিযোগ গত জুন মাসে তুলেছিলেন বিজেপির তৎকালীন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বিজেপির সদর দফতরের সামনে ৫৪টি তাজা বোম পাওয়া যেতেই উত্তপ্ত হয় গোটা পরিস্থিতি। যা নিয়ে রাজ্য প্রশাসনকেই দুষেছিলেন তিনি।

“কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এই ঘটনা আগে জানতে পারে যে বিজেপির সদর দফতরের পাশে ৫৪টি তাজা বোমা রয়েছে। এরপর তাঁদের থেকে জানতে পারে পুলিশ। রাজ্য পুলিশ কী করছে সারাদিন? আর এত বোমা এল কী করে? তবে কি ভোটে যা বিস্ফোরণ করা হয়নি, সেগুলোকে রেখে দেওয়া হয়েছে এখানে? ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটতে পারত।”

বিজেপির রাজ্য সভাপতির কথায়, “নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে, কার্যালয়ে বোম মারা হয়েছিল। হেস্টিংসের সামনে বারবার আক্রমণ হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী ক্ষমতা আসার পর আমাদের ৩২ জন কর্মী হত্যা হয়েছে। পশ্চিমবাংলায় একটাই শিল্প ভাল চলে তা হল বোমাশিল্প। আগে গ্রামে গ্রামে চলত এখন কলকাতার বুকে চলছে। সাধারণ মানুষকে বলব সতর্ক থাকতে। আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি।”

অপরদিকে, একুশের ভোট চলাকালীন খাস কলকাতায় দফায় দফায় বোমাবাজির অভিযোগে সরব হয়েছিল বিরোধীরা। শেষ দফার ভোট অর্থাৎ ২৯ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকালে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ে মহাজাতি সদনের কাছে দুটি বোমা ছোড়া হয়েছিল। তবে রাস্তা ফাঁকা থাকায় কোনও হতাহতের খবর মেলেনি। ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপির মধ্যে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছিল।

সেদিন সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ে মহাজাতি সদনের কাছে রাস্তার পাশে বোমাবাজি হয়।রাস্তায় বোমার দাগ পড়েছিল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী। প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা, গাড়িতে করে এসে বোমা ছোড়া হয়েছিল। দু’টি বোমা পড়েছে। তবে কে বা কারা বোমা ছুড়েছিল, তা স্পষ্ট নয়। নির্বিঘ্নে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করতে এলাকায় প্রচুর পুলিশকর্মী মোতায়েন কথা হয়েছিল।

জোড়াসাঁকোর বিজেপি প্রার্থী মিনাদেবী পুরোহিতের দাবি, এলাকায় ভয়ের পরিবেশ তৈরি করতেই বোমাবাজি করা হয়েছিল। ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। যদিও সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। জোড়াসাঁকোর তৃণমূল প্রার্থী বিবেক গুপ্ত পাল্টা অভিযোগ করেছিল, সংখ্যালঘু এলাকায় ভোটারদের ভয় দেখাতেই বিজেপি-আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বোমা ছুড়েছিল।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Police Investigation Roof Shed Maldah Blast land Dispute
Advertisment