Blood donation for accident of Kanchanjunga Express Train: মানবিক রূপ দেখল শহর শিলিগুড়ি। দুর্ঘটনার পরপরই দুর্ঘটনায় আহতদের রক্তের প্রয়োজনীয়তার কথা মাথায় রেখে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে রক্ত দিতে ছুটলেন প্রচুর মানুষ। উদ্ধারকার্যে এগিয়ে এলেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন শিলিগুড়ি ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন।
Advertisment
কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ও মালগাড়ির সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৯ যাত্রীর। আহতের সংখ্যাও বহু। হতাহতদের মধ্যে বহু রেলকর্মীও আছেন। মালগাড়ির চালকের প্রাণ চলে গিয়েছে। এদিকে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের গার্ডও মারা গিয়েছেন। জানা গিয়েছে, নির্ধারিত সময় মেনেই আজ সকালে নিউ জলপাইগুড়িতে পৌঁছয় ডাউন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। নিজবাড়ি এবং রাঙাপানি স্টেশনের মাঝামাঝি জায়গায় দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় উদ্ধারকাজে হাত লাগান প্রশাসনের পাশাপাশি স্থানীয়রাও। উদ্ধারকাজে এগিয়ে আসে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
দুর্ঘটনার পর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে মোট ৬২ জনকে নিয়ে যাওয়া হয় উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে। এদের মধ্যে ১৫ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। এই মুহূর্তে মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন রয়েছেন মোট ৪৭ জন জখম যাত্রী। দুর্ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই উদ্ধারকাজে যোগ দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান শিলিগুড়ি ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশনের সদস্যরা। আহতদের উদ্ধার করে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে নিজেদের অ্যাম্বুলেন্সে চাপিয়ে তাঁরা পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।
মেডিকেল কলেজের ব্লাড ব্যাংকে রক্ত সঙ্কটের কথা মাথায় রেখে, আহতদের রক্তের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে রক্তের বন্দোবস্ত করেন তাঁরা। সংগঠনের তরফে এদিন মেডিকেল কলেজে গিয়ে রক্তদান করেছেন ২০ জন সদস্য। এই প্রসঙ্গে, সংগঠনের সম্পাদক জ্যোতির্ময় পাল বলেন, 'দুর্ঘটনার পরপরই উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছি আমরা। আহতদের উদ্ধার করে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করেছি। রক্তের অভাবে যাতে আহতদের চিকিৎসায় ব্যাঘাত না ঘটে, সেই কারণে ২০ ইউনিট রক্তের ব্যবস্থা করেছি। প্রয়োজনে আরও রক্তের ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিয়েছি।' এদিন শিলিগুড়ি ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশনের পাশাপাশি বহু সাধারণ মানুষকেও আহতদের সাহায্যে রক্তদানে এগিয়ে আসতে দেখা গিয়েছে।