কপালজোরে প্রাণে বাঁচলেন ৬ মৎস্যজীবী। দিঘার উত্তাল সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়েই বিপত্তি ঘটে। কোনওমতে ৬ জনকে উদ্ধার করেন সিভিল ডিফেন্সের কর্মী ও নুলিয়ারা। নৌকা উল্টে বেশ কয়েকজন মৎস্যজীবী আহত হয়েছেন। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ঠিক কী ঘটেছিল মঙ্গলবার? আবহাওয়া দফতর আগেই সতর্ক করে দিয়েছিল। ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকায় সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করা হয়েছিল মৎস্যজীবীদের। তবে সেই সতর্কবার্তা কানেই তোলেননি এই মৎস্যজীবীরা। দিঘার স্থানীয় কয়েকজন মৎস্যজীবী মঙ্গলবার সকালে নৌকা নিয়ে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। তবে কিছু দূর যেতেই বিপত্তি। মঙ্গলবার সকাল থেকে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয় দিঘায়। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ার দাপট। উত্তাল হয়ে ওঠে দিঘার সমুদ্র। প্রবল হাওয়ায় রীতিমতো হেলতে থাকে নৌকা।
জলের তোড়ে পাড়ের দিকে চলে আসে নৌকাটি। তাতেই মৎস্যজীবীদের উদ্ধারের ক্ষেত্রে কিছুটা সুবিধা হয়। সমুদ্রের পাড়ের কাছে এসে ঢেউয়ের তোড়ে উল্টে যায় নৌকাটি। নৌকা থেকে ছিটকে জলে পড়েন মৎস্যজীবীরা। কয়েকজন মৎস্যজীবী ছিটকে পড়েন পাথরের উপর। এর জেরে বেশ কয়েকজন মৎস্যজীবী আহত হন। ততক্ষণে সেখানে পৌঁছে গিয়েছিলেন সিভিল ডিফেন্সের কর্মী ও নুলিয়ারা। তাঁরাই মৎস্যজীবীদের উদ্ধার করে তাঁদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।
আরও পড়ুন- করোনায় শিকেয় শিক্ষা, গ্রামাঞ্চলের মাত্র ৮ শতাংশ খুদে-পড়ুয়া অনলাইন ক্লাসে
জোড়া ঘূর্ণাবর্তের দাপটে সোমবার রাত থেকেই দফায়-দফায় ব্যাপক বৃষ্টি পূর্ব মেদিনীপুরের বিভিন্ন এলাকায়। ময়নায় এদিন সকালে বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া বইতে থাকে। হাওয়ার দাপটে গাছের ডাল ভেঙে মাথায় পড়ে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে ময়নায়। রাজমস্ত্রির জোগাড়ের কাজ করতেন ওই ব্যক্তি। বাড়ি থেকে বেরিয়ে কাজে যাচ্ছিলেন তিনি। আচমকা গাছের ডাল ভেঙে পড়ে ওই ব্যক্তির মাথার উপর। গুরুতর আহত তিনি। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন