এক তৃণমূল নেতার দিদি ও ভাগ্নীর মৃতদেহ উদ্ধার হল বাড়ির মধ্যেই। এছাড়া গুরুতর জখম অবস্থায় ওই বাড়ি থেকেই উদ্ধার করা হয়েছে জামাইবাবুকেও। তাঁকে তড়িঘড়ি আরামবাগ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে কামারপুকুর মধুবাটি এলাকায়। কামারপুকুর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি রাজদীপ দের দিদি শিল্পা দত্ত মেয়ে অদ্রিজাকে নিয়ে মধুবাটিতে ভাড়া থাকতেন। শ্বশুরবাড়ি নদিয়ার বগুলায়। শিল্পার স্বামী মৃণাল দত্ত কর্মসূত্রে চেন্নাই থাকতেন। দিন চারেক আগে ছুটি নিয়ে তিনি মধুবাটির বাড়িতে আসেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সোমবার সকাল থেকে দত্ত পরিবারের কেউ দরজা খোলেননি। সকালে বাচ্চাটির আঁকার টিচার এসে ডাকাডাকি করে ফিরে যায়, ভেবেছিল হয়তো ঘুমোচ্ছে। মোবাইলে রিং করলেও কোনও সাড়া মিলছিল না। এরপর সকাল ১০টার সময় স্কুলের গাড়ি এসে ডাকাডাকি করলেও অপর প্রান্ত থেকে কোনও জবাব আসেনি। তখন পাড়া-প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়। তাঁরা খবর দেন রাজদীপকে। রাজদীপ গোঘাট থানার পুলিশকে নিয়ে এসে দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন। দেখেন, বিছানার ওপর শিল্পা ও তাঁর মেয়ের রক্তাক্ত দেহ পড়ে আছে। দুজনেরই গলায় কোনও ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপানো। খানিকটা দূরে মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া যায় মৃণাল দত্তকে।
আরও পড়ুন- নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রথম জামিন মঞ্জুর, কার ভাগ্যে শিকে ছিঁড়ল?
তাঁর পেটে ছিল গভীর ক্ষত। পাশ থেকে একটি ধারাল ছোরা উদ্ধার হয়। এলাকায় এই ঘটনায় দারুণ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, পারিবারিক অশান্তির জেরে মৃণাল তাঁর স্ত্রী ও কন্যাকে খুন করে নিজে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন। কারণ, ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। শাবল দিয়ে দরজা ভেঙে পুলিশ ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে। পুলিশ শিল্পা ও অদ্রিজার মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। এখনও সংজ্ঞাহীন অবস্থায় আছেন মৃণাল। তাঁর অবস্থা ভালো নয়। মৃণালবাবু সুস্থ হলেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তখনই পুরো বিষয়টি পরিষ্কার হবে বলে গোঘাট থানার এক আধিকারিক জানিয়েছেন।