শনিবার বেলা বাড়তেই সেক্টর ফাইভে হুলস্থূল কাণ্ড। আইটি সেক্টরের এক সংস্থার বাথরুম থেকে উদ্ধার হল রক্তাক্ত নিরাপত্তারক্ষী। তাঁর শরীরের একাধিক স্থানে ক্ষতচিহ্ন দেখা গিয়েছে। পরে রক্তাক্ত ওই নিরাপত্তারক্ষীকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসা চলাকালীনই মৃত্যু হয় তাঁর।
বিধাননগর ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানা সূত্রে খবর, সংস্থার বাথরুমটিও ভাঙচুর অবস্থায় ছিল। সেখান থেকেই রক্তাক্ত নিরাপত্তারক্ষী কমলেশ চট্টোপাধ্য়ায়কে উদ্ধার করা হয়।
নিরাপত্তা সংস্থার এক কর্মী প্রভাস মণ্ডলের কথায়, শনিবার সকাল আটটা নাগাদ সেক্টর ফাইভে সংশ্লিষ্ট দফতরে কাজে এসেছিলেন কমলেশ চট্টোপাধ্যায়। শুরু থেকেই তাঁকে উত্তেজিত দেখেছিলেন সহকর্মীরা। ঘামে ভিজে ছিল জামা। কথাবার্তাও ছিল অসংলগ্ন। ডিউটিতে যোগ দেওয়ার কিছুক্ষণ পরই বাথরুমে চলে যান কমলেশ। কিছুক্ষণ পর বাথরুম থেকে বেরিয়ে আসেন। সেই সময় নগ্ন অবস্থায় ছিলেন ওই নিরাপত্তারক্ষী। শরীরের একাধিক জায়গায় ক্ষতচিহ্ন ও রক্ত ঝরছে।
এই অবস্থায় সঙ্গে সঙ্গেই অন্যান্য কর্মীরা কথা বলতে গেলে তিনি কমলেশ পুনরায় বাথরুমে ঢুকে যান। নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে বাথরুম থেকে ডাকতে গেলে দরজা খুলে দেখতে পান সেখানে রক্তাক্ত অবস্থায় অচৈতন্য হয়ে পড়ে রয়েছেন নিরাপত্তারক্ষী। বাথরুমের বেসিন ভাঙা।
এরপরই তাকে তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় ওই নিরাপত্তারক্ষীর। মৃত্যুর নেপথ্যে মানসিক অবসাদ নাকি অন্য কোনও রহস্য রয়েছে তার তদন্ত শুরু করেছে বিধাননগর ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার পুলিশ।
হাতিয়ারা এলাকার বাসিন্দা মৃত কমলেশ চট্টোপাধ্যায়ের সহকর্মীরা জানিয়েছেন, ২০১১ সালে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। তাঁর একটি কন্যা সন্তান আছে। ২০১৯ সালে কমলেশের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এর পর থেকেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। বিবাহ বিচ্ছেদের পর মেয়ের সঙ্গে তাঁকে দেখা করতে দেওয়া হত না বলে প্রায়ই অভিযোগ করতেন কমলেশ। ফলে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি।