ছত্তিসগড়ে মাওবাদীদের বিছানো আইইডি (IED) বিস্ফোরণে প্রাণ হারালেন আসানসোলের ৩১ বছরের যুবক তথা সিআরপিএফ জওয়ান সঞ্জিত কুমার হরিজন। গতকাল দুপুরে রুটিন তল্লাশি চালানোর সময় সুকমার জঙ্গলে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরনে গুরুতর জখম হন তিনি। সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় রায়পুরে। সন্ধ্যায় সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।
মাত্র ৩১ বছর বয়সেই প্রাণ দিলেন সঞ্জিত
রাতে এই খবর এসে পৌঁছনোর পরই কান্নার রোল পড়ে যায় সঞ্জিতের বাড়িতে। মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ে পরিবারের। বাবা ইস্টার্ন কোলফিল্ডের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী। একমাত্র পুত্রসন্তানকে হারিয়ে শোকে পাথর সঞ্জিতের মা। কিন্তু হার মানেন নি বাবা রাম আয়ুধ। দেশের জন্য প্রয়োজনে নিজের নাতিদের সেনাবাহিনীতে পাঠাতে প্রস্তুত তিনি। কিন্তু ক্ষোভ উগরে দিলেন সরকারের ওপর। জানালেন, "ভোটের রাজনীতিতে ব্যস্ত" নেতা মন্ত্রীরা এই সমস্যার সমাধানে কোন কাজ করেন নি। "দেশের শান্তির জন্য মাওবাদীদের মেরে ফেলা উচিত" বলেও জানালেন তিনি।
গান স্যালুট দিয়ে সম্মান জানানো হয় সঞ্জিতকে
আজ বিকেল সাড়ে তিনটেয় আসানসোলের বাড়িতে সিআরপিএফ-এর গাড়ি করে এসে পৌঁছয় শহীদ সঞ্জিতের দেহ। সেখানে তাঁকে গান স্যাল্যুট দেওয়া হয় সিআরপিএফ ও আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের তরফ থেকে। উপস্থিত ছিলেন সিআরপিএফ-এর দুর্গাপুর রেঞ্জের ডিআইজি বিনয় কুমার সিং, অতিরিক্ত ডেপুটি পুলিশ কমিশনার সেন্ট্রাল (আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট), আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক তাপস ব্যানার্জি প্রমুখ। তাছাড়াও চোখের জলে সঞ্জিতকে শেষ শ্রদ্ধা জানান হাজারো সধারন মানুষ।