বগটুই হত্যাকাণ্ডের প্রত্যক্ষদর্শী মিহিলাল শেখকে সোমবার জেরা করল সিবিআই। দীর্লঘ আড়াই ঘন্টা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাঁর বয়ানও রেকর্কড করা হয়েছে। বগটুইকাণ্ডে মিহিলালের মা, স্ত্রী, কন্যা, জামাইয়ের মৃত্যু হয়েছিল। এই মামলায় তিনিই মূল প্রত্যক্ষদর্শী। অন্যদিকে রবিবারই অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা ধৃত আনারুল হোসেনকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই গোয়েন্দারা। ধৃত তৃণমূল কর্মী আজাদ চৌধুরীর মুখোমুখি বসিয়ে আনারুলকে জেরা করা হয়।
বর্তমানে অগ্নিদগ্ধদের পরিবারের সদস্য মিহিলাল শেখ ও তার ভাই বানিরুল বগটুই গ্রাম থেকে থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে সন্ধ্যাজল গ্রামে তাঁর শ্বশুর বাড়িতে রয়েছেন। সিবিআই সূত্রে খবর, রবিবারই ফোনে মিহিলালকে তলব করা হয়েছিল। রামপুরহাটে সিবিআইয়ের অস্তাঁথায়ী ক্যাম্পে সোমবার সকাল ১০টায় হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
কিনন্তু আশঙ্কা ভুগছেন মিহিলাল শেখ। কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের সহযোগিতার কথা বললেও রামপুরহাটে যেতে চান না তিনি। তাঁর আর্জি ছিল, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা সাঁইথিয়ার সন্ধ্যাজল গ্রামে এসে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করুন। পরে অবশ্য রামপুরহাটেই মিহিলালকে জেরা করে সিবিআই।
সিবিআই-র ডিআইজি অখিলেশ সিংয়ের নেতৃত্বে প্রায় ৮ ঘন্টা আনারুলকে জেরা চলে। ভাদু শেখ খুনের পর তৃণমূল কর্মী আজাদ চৌধুরীর সঙ্গে তাঁর ফোনে কী কথা হয়েছিল? কাদের বগটুই গ্রামে হত্যাকাণ্ডের কাজে লাগানো হয়েছিল? তা আনারুল ও আজাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়বলে খবর। পুলিশকে ঘটনার খবর কারা দিয়েছিল? পুলিশ কখন গ্রামে পৌঁছেছিল? সিবিআইয়ের তরফে তাও জানতে চাওয়া হয়।
জেরা শেষে তৃণমূল ব্লক সভাপতি ধৃত আনারুলের দাবি, 'আমাকে বলির পাঁঠা করা হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে আমি কোনওভাবে যুক্ত নই। বাড়িতে ছিলাম। ঘটনার পর খবর পাই।'
এদিকে বগটুইকাণ্ডে অগ্নিদগ্ধ নাজেমা বিবির শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। তাঁকে ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়েছে। তাঁর দেহের প্রায় ৭০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে। মৃত্যু হয়েছে আরেক আক্রান্ত জারিনা বিবির।