Advertisment

বগটুই কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালন শেখের মৃত্যু সিবিআই হেফাজতে

এ মাসেই গ্রেফতার হন লালন শেখ

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Lalan Sheikh

এই বাড়িতেই জ্যান্ত পুড়িয়ে নৃশংস হত্যা করা হয় ১০ জনকে। (ডানদিকে) লালন শেখ

বগটুই গণহত্যা কাণ্ডে সিবিআই হেফাজতে মৃত্যু মূল অভিযুক্ত লালন শেখের। তৃণমূল উপপ্রধান ভাদু শেখকে খুনে অভিযুক্ত ছিলেন লালন। তার পর রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে ১০ জনকে পুড়িয়ে মারা হয়। সেই ঘটনাতেও মূল অভিযুক্ত ছিলেন লালন শেখ। ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিল লালন। কিছুদিন আগে লালনকে গ্রেফতার করে সিবিআই। আর এবার সিবিআই হেফাজতেই মৃত্যু হল তাঁর।

Advertisment

বগটুই কাণ্ডের অন্যতম মাথা ছিল লালন। তাঁকে ছদিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। তার পর তাঁকে রামপুরহাটের অস্থায়ী ক্যাম্পে জেরা করার জন্য নিয়ে আসা হয়। আজ, সোমবার হেফাজতের তৃতীয় দিনে আচমকাই মৃত্যু হয়েছে লালনের। তাঁর কোনও শারীরিক অসুস্থতা ছিল কি না, না কি তাঁকে হেফাজতে কোনও চাপ দেওয়া হয়েছে কি না সে নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সূত্রের খবর, পুলিশকে সিবিআই জানিয়েছে লালন আত্মহত্যা করেছে।

প্রসঙ্গত, গত ২১ মার্চ রাতে ভাদু শেখ খুন হন। তার পর ওইদিন রাতেই তাণ্ডব চলে বগটুই গ্রামে। বাড়িতেই জ্যান্ত পুড়িয়ে নৃশংস হত্যা করা হয় ১০ জনকে। তার মধ্যে শিশুও ছিল। এই ঘটনার বীভৎসতায় গোটা বাংলা কেঁপে উঠেছিল। তার পর ঘটনার তদন্তভার সিবিআইকে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। ঘটনার ৯ মাস পর মূল অভিযুক্ত লালনকে গ্রেফতার করে সিবিআই।

আরও পড়ুন ‘রাজপ্রাসাদ’ গড়েছেন তৃণমূল নেতা! তাও সরকারি বাড়ি-প্রকল্পে পরিবারের চারজনের নাম

৬ দিনের হেফাজতে পাওয়ার পর তাঁকে অস্থায়ী ক্যাম্পে নিয়ে আসেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। কিন্তু তিন দিনেরর মাথায় আচমকা মৃত্যু হল লালনের। যা নিয়ে সিবিআইয়ের তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে বড় সড় প্রশ্ন উঠে গেল। যে কি না ঘটনার কেন্দ্রবিন্দু, এবার তাঁর মৃত্যুর পর তদন্তের মোড় ঘুরে গেল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

cbi West Bengal Birbhum Violence Bogtui Horror
Advertisment