সাত সকালে মুদিখানার দোকানের পিছনের গুদামে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল হাওড়ার জগদীশপুরে। বৃহস্পতিবারের এই বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন ষাটোর্ধ্ব ভ্যানচালক দুখীরাম কয়াল। বোমার আঘাতে জগদীশপুরের দাসপাড়ার বাসিন্দা দুখীরামের দু'টি পা মারাত্মক জখম হয়েছে। এদিনের বিস্ফোরণকে ঘিরে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে।
জানা যাচ্ছে, বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে গুদামের চালা উড়ে গিয়েছে। আহত দুখীরাম কয়াল বলেন, “নুনের বস্তা ভ্যান থেকে মাটির ওপর ফেলার পরেই একটা আওয়াজ হয়। এরপরেই ধোঁয়ায় ভরে গেল। চারিদিক ধোঁয়ায় অন্ধকার হয়ে যায়। কিচ্ছু দেখা যাচ্ছিল না। দমবন্ধ হয়ে আসছিল”।
স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান গোবিন্দ হাজরা বলেন, “জগদীশপুরে বোমা বিষ্ফোরণের ঘটনাটি ঘটেছে। এই এলাকার বাসিন্দা প্রেম গুপ্তার বাড়িতে বোমা রাখা ছিল। সে বিজেপি কর্মী। এলাকায় তার সুনাম নেই”। এরপরই গোবিন্দ হাজরা দাবি করেন, খুঁজলে প্রেমের বাড়িতে গাঁজা পাওয়া যাবে। গোবিন্দবাবু আরও জানান, নুনের বস্তা গুদামে রাখতে গিয়েই ভ্যান চালক আহত হন। তাঁকে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
গোবিন্দ হাজরা অভিযোগ করলেও প্রেম গুপ্তর কাকা সোমনাথ গুপ্ত তা খারিজ করে দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, রাত প্রায় ১টা পর্যন্ত তাঁদের বাড়ির দরজা খোলা থাকে। বহু লোক আসে-যায়। তবে কী করে এমন ঘটনা ঘটল তা জানতে পারা যায়নি বলেই জানিয়েছেন সোমনাথবাবু। তৃণমূলের তোলা অভিযোগের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "প্রায় ৪৫ বছর ধরে এখানকার বাসিন্দা। কারও সঙ্গে কোনও বিবাদ বা শত্রুতা নেই"। সোমনাথ গুপ্ত জানান, তাঁদের তিন ভাই প্রত্যেকেই যে যার কাজে ব্যাস্ত। তবে কারও প্রতি কোনও সন্দেহ নেই বলেই জানিয়েছেন তিনি।
পুলিশ এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে। বোমা মজুত করা বা এদিনের বিস্ফোরণের ঘটনার পিছনে কে বা কারা রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।