বীরভূমের মল্লারপুরের পর এবার বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল লাভপুর। বীরভূমের দাঁড়কা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিত্যক্ত ঘরে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। ধূলিস্যাৎ হয়ে যায় দুটি ঘরই। মজুত বোমা ফেটেই এই বিস্ফোরণ বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান করেছে পুলিশ। বুধবার রাত আড়াইটে নাগাদ বিস্ফোরণটি হয়, বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। ঘটনাস্থলে যায় লাভপুর থানার পুলিশ, পৌঁছয় ফরেন্সিক দলও। প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে পুলিশ ক্যাম্প। তার পরেও কেন এই বিস্ফোরণ সে ব্যাপারে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয়রা।
আরও পড়ুন- ‘জয় শ্রীরাম’ না বলায় পাঁচ তৃণমূল কর্মীকে মারের অভিযোগ
এদিকে এই বিস্ফোরণকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিজেপি এবং তৃণমূল পরস্পরের বিরুদ্ধে বোমা মজুতের অভিযোগ তুলেছে। মল্লারপুরের পর প্রায় একই বিস্ফোরণের ঘটনা এবার লাভপুরে। কিছুদিন আগেই মল্লারপুর স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় বিস্ফোরণের জেরে উড়ে যায় ক্লাব ঘরের ছাদ। পাশের একটি বাড়ির টিনের চালও উড়ে গিয়ে পড়ে অনেক দূরে। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে ক্লাবের ভিতরে থাকা ৭ ফুট উঁচু একটি আলমারিও রাস্তায় ছিটকে গিয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন, রাজ্যের ‘বাংলা’ নামে অনুমোদন নেই কেন্দ্রের
উল্লেখ্য, কিছুদিন ধরেই তৃণমূল-বিজেপি চাপানউতোরে উত্তপ্ত বীরভূমের মল্লারপুর। কয়েকদিন ধরেই এলাকায় বোমাবাজির খবর মিলেছিল। সেই প্রেক্ষাপটেই এদিনের বিস্ফোরণে এলাকায় নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়ায়। উল্লেখ্য, এবার বীরভূমে লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল জয়ী হলেও, বেশ কয়েকটি বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলকে টেক্কা দিয়েছে বিজেপি। এরফলে রীতিমতো চিন্তায় রয়েছেন বীরভূমের প্রবল পরাক্রমশালী তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এছাড়া, লাভপুরের তৃণমূল বিধায়ক মনিরুল ইসলামও জার্সি বদল করে পদ্ম শিবিরে নাম লিখিয়েছেন। ফলে, এদিনের ঘটনার পিছনে রাজনৈতিক জমি দখলের চেষ্টাই দায়ি কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।