কলকাতা বিমানবন্দরে বোমাতঙ্ক। বিমানে উঠেই চিৎকার শুরু এক যাত্রীর। 'বিমানে বোমা আছে' বলে চিৎকার শুরু করে দেন ওই যাত্রী। তড়িঘড়ি যাত্রীদের নামিয়ে বিমান খালি করে দেওয়া হয়। খবর দেওয়া হয় সিআইএসএফ-কে। মঙ্গবার ভোরে কলকাতা বিমানবন্দরে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দর থেকে দোহা হয়ে লন্ডন যাওয়ার কথা ছিল কাতার এয়ালাইন্সের এই বিমানটির। তখন বিমানে যাত্রীরা উঠে পড়েছিলেন। এরই মধ্যে হঠাৎ এক যাত্রী চিৎকার শুরু করে দেন। বিমানে বোমা আছে বলে তারস্বরে চিৎকার করতে থাকেন জাভেদ কাজি নামে ওই যুবক। মুহূর্তের মধ্যে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে বিমানে। আর দেরি না করে বিমানকর্মীরা যাত্রীদের নামিয়ে বিমানটি দ্রুত খালি করে দেন।
আরও পড়ুন- ‘বউমার ডাক পড়েছে, ঘর সংসার এবার জেলে’, মমতাকে মারকাটারি কটাক্ষ দিলীপের
এরই মধ্যে খবর গিয়ে পৌঁছোয় বিমানবন্দরে কর্মরত সিআইএসএফ বাহিনীর কাছে। তাঁরা দ্রুত বিমানের কাছে এসে পড়েন। এরপর ওই যাত্রীটিকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন সিআইএসএফ-এর আধিকারিকরা। বিমানে বোমা থাকার কথা তাঁকে কে বলল সেই প্রশ্ন করা হয় ওই যুবককে। উত্তরে ওই যুবক বলেন, 'আমাকে একজন বলেছে।'
ওই যুবককে এদিন বিমানবন্দরে ছাড়তে এসেছিলেন তাঁর বাবা। পরে তাঁর সঙ্গে কথা বলেন সিআইএসএফ-এর আধিকারিকরা। তখনই বিষয়টি স্পষ্ট হয়। যুবকের বাবা জানান, তাঁর ছেলে বিরল রোগে আক্রান্ত। মানসিক অসুস্থতার জেরেই সে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে দাবি করেন তাঁর বাবা। এমনকী ছেলের অসুস্থতার বিষয়ে প্রমাণ দিতে বেশ কিছু মেডিক্যাল কাগজপত্রও এদিন সিআইএসএফ আধিকারিক এবং বিমানবন্দরের কর্তাদের দেখিয়েছেন ওই ব্যক্তি। ওই সব নথিপত্র দেখে বোঝা গিয়েছে জন জাভেদ কাজি নামে ওই যুবক মানসিকভাবে অসুস্থ।
যদিও এরপরে স্নিফার ডগ এনে এই বিমানটিতে তল্লাশি চালানো হয়। সিআইএসএফ-এর কর্মীরা গোটা বিমানটিতে চিরুনি তল্লাশি চালিয়েছেন। কোথাও কোনও সন্দেহজনক কিছু মেলেনি। শেষমেশ নির্ধারিত সময়ের চেয়ে সাড়ে ৫ ঘণ্টা পর বিমানটি গন্তব্যের দিকে উড়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।