পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে জেলায়-জেলায় বোমাবাজি-গোলাগুলির ঘটনায় উদ্বেগ বেড়েই চলেছে। এবার নন্দীগ্রামে তৃণমূল বুথ সভাপতির বাড়ি লক্ষ্য করে পরপর বোমাবাজিতে উত্তেজনা তুঙ্গে। শাসকদলের নেতার বাড়ি লক্ষ্য করে পরপর তিনটি বোমা ছোঁড়ে দুষ্কৃতীরা। বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছে তৃণমূল। যদিও স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের পাল্টা দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠী-কোন্দলের জেরেই শাসকদলের নেতার বাড়িতে বোমাবাজি চলে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
বছর ঘুরলেই রাজ্যে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে জেলায়-জেলায় বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ। এই আবহেই দিকে-দিকে মিলছে অস্ত্র-বোমার ভাণ্ডার। গত কয়েক সপ্তাহে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থকে আগ্নেয়াস্ত্র, বোমা উদ্ধারের একাধিক ঘটনা সামনে এসেছে। এবার ঘটনাস্থল পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম। একুশের নির্বাচনে এরাজ্যের তো বটেই এমনকী দেশের তাবড় মিডিয়ার নজর ছিল এই নন্দীগ্রামেই। এখানেই বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছিলেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও নির্বাচনে শুভেন্দুর কাছে হেরে যান তৃণমূলনেত্রী।
একুশের ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকেই একাধিকবার নন্দীগ্রামে রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনা সামনে এসেছে। তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে দিনের পর দিন উত্তেজনা ছড়িয়েছে নন্দীগ্রামের বিভিন্ন এলাকায়। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে আবারও উত্তপ্ত পূর্ব মেদিনীপুরের এই এলাকা। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে নন্দীগ্রামের গোকুলনগরের কর পল্লিতে তৃণমূল বুথ সভাপতি স্বপন করের বাড়ি লক্ষ্য করে পরপর বোমা ছোঁড়ে দুষ্কৃতীরা। বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই বাইকে চেপে এসে এই বোমাবাজি করেছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের।
আরও পড়ুন- আসানসোল-কাণ্ড: ভীষণ কড়া পুলিশ, আটক ৩, বিজেপি নেতার নামে FIR
যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁদের পাল্টা অভিযোগ, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল চরমে উঠেছে। তারই জেরে এবার দলের নেতার বাড়িতেই বোমাবাজি হচ্ছে। এদিকে, শাসকদলের নেতার বাড়িতে বোমাবাজির ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন- দ্রুত নামল পারদ, মাঝ ডিসেম্বরে কাঁপুনি ধরাচ্ছে শীত, ঠান্ডার এই স্পেল কতদিন?
ব্লক তৃণমূল নেতা স্বদেশ রঞ্জন দাস বলেন, ''এই বাড়িতে জেলা পরিষদ সদস্য আছেন। প্রাক্তন উপপ্রধান আছেন। এই বুথের উপর এই পরিবারের একটা প্রভাব আছে। সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করাই এই বোমাবাজির উদ্দেশ্য। পরিকল্পনা করে বিজেপি এই আক্রমণ করেছে। আমরা এর তীব্র ধিক্কার জানাচ্ছি। প্রশাসনকে জানিয়েছি। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তরা গ্রেফতার না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।'' অন্যদিকে নন্দীগ্রামের বিজেপি নেতা বিজন দাস বলেন, ''বোমাবাজির কালচার বিজেপির নেই। তৃণমূল মিথ্যা অভিযোগ করছে। ওরাই বোমা মেরেছে। বিজেপি কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।''