বনগাঁয় ধর্ষণের ঘটনায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার অভিযুক্ত। ধৃতের নাম শাহাজাদ মণ্ডল৷ ২৫ বছর বয়সী শাহাজাদ পেট্রাপোল থানা এলাকার খলিদপুরের বাসিন্দা। শনিবার সন্ধেয় বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে পেট্রাপোল থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মেয়েটিকে নিয়ে যাওয়ার সময়ের ছবি শহরের সিসিটিভি -তে ধরা পড়েছে। সেই সূত্র থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ইতিমধ্যে অভিযুক্তকে শনাক্ত করেছে নির্যাতিতা। অভিযুক্তকে আগামিকাল বনগাঁ আদালতে তোলা হবে৷
উল্লেখ্য, বনগাঁ থানার সামনে থেকে এক তরুণীকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে৷ উত্তর ২৪ পরগনার পেট্রাপোলের খলিদপুরের এই ঘটনায় প্রাথমিকভাবে পুলিশি নিষ্ক্রিিয়তার অভিযোগ উঠেছিল। তবে ঘটনার পর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷
ঘটনা সূত্রপাত শুক্রবার ভর সন্ধ্যায়। আত্মীয়র বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বেরহয় নির্যাতিতা। দীর্ঘক্ষণ বাড়ি না ফেরায় তাঁর খোঁজখবর শুরু হয়। এর মাঝেই খলিদপুর থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় ওই তরুণীকে উদ্ধার করা হয়। ভর্তি করা হয় বনগাঁ হাসপাতালে। খবর যায় নির্যাতিতার বাবা, মায়ের কাছে।
নির্যাতিতা পরিবারের দাবি, বনগাঁ থানার সামনে এক ইঞ্জিন ভ্যান চালকের সঙ্গে মেয়ের দেখা হয়। ওই ভ্যানচালক তাকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে ভ্যানে তোলে। অভিযোগ, ওই ভ্যানচালক তাকে বাড়ি পৌঁছে না দিয়ে পেট্রাপোল থানার খলিদপুর এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে একটি জঙ্গলে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে ফেলে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন- ‘নিজভূমে রাষ্ট্রহীন কামতাপুরীরা’, ফের বঞ্চনার অভিযোগে সরব জীবন সিংহ
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গভীর রাতে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তার পাশে বসে কাঁদছিল ওই যুবতী। তার সারা শরীর রক্তাক্ত ছিল। গ্রামবাসীরাই পেট্টাপোল থানায় খবর দেয়। পুলিশ এসে যুবতীকে বনগাঁ মহাকুমা হাসপাতালে ভর্তি করেন৷
এই ঘটনায় বনগাঁর আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সরব বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়া বলেন, 'পশ্চিমবঙ্গে জঙ্গল রাজ চলছে। মা, বোনেদের ইজ্জতের কোন দাম নেই। বনগাঁ পুলিশ প্রশাসন সঠিক জায়গায় থাকলে বনগাঁয় এত বড় ঘটনা ঘটত না। পর পর বনগাঁ অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে। পুলিশ সম্পূর্ণ ব্যর্থ।'
তৃণমূল নেতা গোপাল শেঠ বলেছেন, 'ঘটনাটি দুর্ভাগ্যজনক। বনগাঁ পৌরসভার পক্ষ থেকে পরিবারের পাশে থেকে চিকিৎসা সহ সকল রকম সহযোগিতা করা হবে।'
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন