/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/08/highcourt-759.jpg)
কলকাতা হাইকোর্ট।
বনগাঁ পুরসভায় নয়া মোড়। বনগাঁর পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে নতুন করে অনাস্থা আনার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ১২ দিনের মধ্যে বনগাঁ পুরসভায় অনাস্থা আনতে হবে। শুধু তাই নয়, জেলাশাসকের দফতরেই অনাস্থা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। গোটা প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে বলে সোমবার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট।
-->ঠিক কী নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট?
গত ১৬ জুলাই আস্থা ভোট ঘিরে তুলকালাম কাণ্ড ঘটেছিল বনগাঁ পুরসভায়। তৃণমূল ও বিজেপি, দু’দলই সেদিন বোর্ড গঠনের দাবি জানিয়েছিল। সোমবার সেই দুই দাবিই খারিজ করে দেন বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়। পাশাপাশি হাইকোর্টের নির্দেশে বলা হয়েছে, আগামী ১২ দিনের মধ্যে বনগাঁ পুরসভায় নতুন করে অনাস্থা আনতে হবে। জেলাশাসকের পর্যবেক্ষণে গোটা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। অনাস্থা প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার আগে পুরসভার দৈনন্দিন কাজ দেখাশোনা করবেন মহকুমা শাসক বা এগজিকিউটিভ অফিসার।
আরও পড়ুন: মুকুলকে ফের টেক্কা, বনগাঁ পুরসভাও ‘পুনরুদ্ধার’ করল মমতা বাহিনী
এ মামলার আইনজীবী দেবযানী দাশগুপ্ত ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলেন, ‘‘এটা ঐতিহাসিক রায়। পুরসভা সংক্রান্ত বিষয়ে বাংলায় এর আগে এমন রায় শোনা যায়নি’’। তিনি আরও বলেন, ‘‘ আদালত জানিয়েছে, আগেরবারের মতো গোলমাল হলে তা মেনে নেওয়া হবে না, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে’’।
প্রসঙ্গত, বনগাঁ পুরসভায় আস্থা ভোট ঘিরে তুলকালাম কাণ্ড চাক্ষুস করেছিল রাজ্য। আস্থা ভোটের দিন ২ বিজেপি কাউন্সিলরকে পুরসভায় ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ঘিরে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ পুরসভা চত্বর। ১৪৪ ধারা জারি থাকাকালীন তৃণমূল-বিজেপি সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়। দলীয় কাউন্সিলরদের ঢুকতে না দেওয়ার প্রতিবাদে পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বাধে বিজেপি কর্মীদের। পুলিশ, র্যাফের সামনেই চলে বোমাবাজি। পরিস্থিতি সামলাতে লাঠিচার্জ করে পুলিশও। এদিকে, ৪ তৃণমূল কাউন্সিলরের ‘ঘর ওয়াপসি’র মাধ্যমে ক’দিন আগেই বনগাঁ পুরসভা ফের তাঁদের দখলে বলে দাবি করে তৃণমূল। ৪ কাউন্সিলর দলে ফেরায় তৃণমূলের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১৪। ফলে বনগাঁ পুরসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল স্পষ্টভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ফিরে পেল বলে দাবি করেন ফিরহাদ হাকিম।