কথায় বলে রাখে হরি তো মারে কে। কুকুরের তাড়ায় চারতলার ছাদ থেকেও পড়ে গিয়েও প্রাণে বাঁচল ন'বছরের অক্ষয়। যদিও তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে পি জি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় আসামের বাসিন্দা অক্ষয়কে। তবে গুরুতর চোট না লাগায় তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরই ছেড়ে দেওয়া হয়। ঘটনার জেরে এখনও আতঙ্কগ্রস্থ ন'বছরের অক্ষয়।
ঠিক কী ঘটেছিল?
শুক্রবার বিকেলেই আসা্মের গুয়াহাটি থেকে হাওড়া জেলার শিবপুরের শালিমারে পদম গুপ্তার ফ্ল্যাটে মা ভবানী দত্তের সঙ্গে আসে অক্ষয়। রামকুমার গাঙ্গুলী লেনের এই ফ্ল্যাট বাড়ির ছাদে বসেই বাড়ির কুকুরের সঙ্গে খেলতে থাকে অক্ষয়। উপস্থিত বাড়ির লোকেদের কথায়, আচমকাই কুকুরটি তাড়া করে অক্ষয়কে। এদিকে ভয়ে দিকবিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে চারতলার পাঁচিল টপকে নিচে ঝাঁপ দেয় অক্ষয়। শব্দ পেয়ে বহুতলের আবাসিকরা চিৎকার করে ওঠেন। স্থানীয়দের কথায়, ছাদ থেকে পড়ার সময় বহুতলের কেবলের তারে জড়িয়ে যায় অক্ষয়। কার্যত অলৌকিকভাবেই প্রাণে বেঁচে যায় ৯ বছরের এই শিশু।
আরও পড়ুন- হাওড়া শহর থেকে উঠে যাচ্ছে ভ্যাট, দূষণ কমানোয় নয়া পদক্ষেপ পুরনিগমের
অক্ষয়কে আবাসনের গেটের সামনে পড়ে যেতে দেখে তৎক্ষনাৎ তাঁকে হাওড়া হাসপাতালে নিয়ে যায় বাড়ির আত্মীয় পরিজনরা। সেখান থেকে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় কলকাতার পিজি হাসপাতালে। তবে আঘাত গুরুতর না হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসার পরই তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন- হাওড়া শহরে নয়া আইন, বাড়িতে জল জমালেই এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা
তবে অক্ষয়ের পরিবারের লোকজন জানায় এখনও জ্বরের ঘোরে শুয়ে রয়েছে আসামের অক্ষয়। তবে বড়ো কোনো আঘাত না লাগায় কিছুটা নিশ্চিন্ত অক্ষয়ের পরিবার। ঘটনা প্রসঙ্গে অক্ষয়ের এক আত্মীয়া নন্দিনী গুপ্তা বলেন, “আজ সকালেই মায়ের সঙ্গে ওর ব্যান্ডেলে আর এক আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিলো। সেই কারণেই শুক্রবার বিকেলে আসাম থেকে মায়ের সঙ্গে শিবপুরে আসে অক্ষয়। আপাতত ও ভগবানের দয়ায় ও সুস্থই আছে”। তবে এমন অলৌকিক ঘটনায় হতবাক শালিমারবাসী।