২০১১ সালের নভেম্বরে সিপিআইএমের মতো বাম দলকে সামাজিক ভাবে বয়কটের ডাক দিয়েছিলেন তৎকালীন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সেই স্লোগান আজও কার্যকর বলে মনে করেন বর্তমানে বাংলার বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়বাবু। শনিবার সিপিআইএম-কে 'ভয়ঙ্কর' বলেও দেগে দিয়েছেন তিনি। তবে সিপিআইএমকে বয়কট প্রসঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করেন রাজ্যের আরেক মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
কী বলেছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক?
হাবড়া ১ নম্বর ব্লক অফিসে ‘দুয়ারে ডাক্তার’ পরিষেবা কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বনমন্ত্রী। চিরকুটে নিয়োগ দুর্নীতির প্রসঙ্গে উঠতেই সুর চড়ান জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। স্মরণ করিয়ে দেন বছর বারো আগে নিজের দেওয়া স্লোগানের কথা। মন্ত্রী বলেন, '২০১১ সালের নভেম্বরে একটা স্লোগান দিয়েছিলাম। সেটা হল- সিপিএমের সঙ্গে চলব না। তার সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক তৈরি করব না। তারা কোনও বিয়েবাড়ি গেলে যাব না। ব্যাগ হাতে বাজারে দাঁড়িয়ে চা খাব না, আড্ডা মারব না। সেটা আজও খুবই প্রযোজ্য। আমি সিপিএমের সঙ্গে চলার পক্ষপাতী নই। এরা ভয়ঙ্কর রাজনৈতিক দল।'
ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্য-
এনিয়ে অবশ্য উল্টো মত ব্যাক্ত করেছেন রাজ্যের নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তাঁর কথায়, 'একজন কাউন্সিলর, জনপ্রতিনিধি হিসাবে আমি মনে করি সিপিএম পরিবারের কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া আমার কাজ। কেই প্রয়াত হলে শ্মশানযাত্রী হওয়া আমার মানবিক কর্তব্য।'
আরও পড়ুন- ডিএ আন্দোলনকারীদের বড় সিদ্ধান্ত, লড়াই এবার কোন পথে?
নিয়োগ দুর্নীতিকে কেন্দ্র করে উত্তাল রাজ্য। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী জেলে। কারাগারে শাসক দলের দুই যুব নেতা। গ্রেফতার করা হয়েছে শিক্ষা দফতরের একাধিক আধিকারিককে। দুর্নীতির অভিযোগে বিরোধীদের নিশানায় তৃণমূল। সেই আক্রমণ সামলাতে এবার বাম আমলে নিয়োগ 'চিরকুটে চাকরি' কেলেঙ্কারিকে সামনে আনতে মরিয়া বাংলার শাসক দল। ইতিমধ্যেই সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী মিলি চক্রবর্তীর নিয়োগপত্র প্রকাশ্যে তুলে ধরেছে তৃণমূল। কোন চাকরির মাধ্যমে মিলিদেবী চাকরি পেয়েছিলেন সেই প্রশ্ন করা হয়েছে। এসবের মধ্যেই সিপিএমকে 'ভয়ঙ্কর' বলে বয়কটের নিদান মনে করালেন বনমন্ত্রী।
আরও পড়ুন- ‘দলের স্বার্থে দুর্নীতি করেছেন বাবাও’, বাম আমলের নিয়োগ ‘কেচ্ছা ফাঁস’ উদয়নের