Advertisment

ভিড় বাড়বে হাসপাতালে, মমতার লকডাউন শিথিলের ইঙ্গিতের পরই নির্দেশিকা নবান্নের

লকডাউন শিথিল হলেই হাসপাতালগুলিতে রোগীর ভিড় বাড়বে। করোনা আবহে রোগীর চাপ নির্দিষ্ট বিধি মেনে কীভাবে সামলানো যায় তারই রূপরেখা প্রস্তুত রাখার জন্য হাসপাতালগুলিতে নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

৩ মে-র পর গ্রিন জোনে লকডাউন কিছুটা শিথিল করতে পারে রাজ্য। প্রায় দেড় মাসব্যাপী লকডউনের কার্যকর হচ্ছে। তারপর হাসপাতালগুলিতে রোগীর ভিড় হুড় হুড় করে বাড়বে বলেই মনে করছে নবান্ন। করোনা আবহে সেই রোগীর চাপ নির্দিষ্ট বিধি মেনে কীভাবে সামলানো যায় তারই রূপরেখা প্রস্তুত রাখার জন্য জেলা হাসপাতালগুলিতে নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। সেই সময়ও সামাজিক বা পারস্পরিক দূরত্ব যেন পালন করা হয় তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।

Advertisment

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের তরফে নির্দেশিকায় বলা হয়েছে যে, 'হাসপাতালগুলিতে স্বাভাবিকতা ফিরে আনার জন্য ব্লু প্রিন্ট প্রস্তুত করতে হবে। ডিউটি রস্টার সহ হাসপাতালের সব ক্ষেত্র ও প্রশাসন সচল রাখতে হবে।' শল্য চিকিৎসার রোগীদেরও করোনা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক। নির্দেশিকার বলা হয়েছে যে, 'কোভিড-১৯ উপসর্গ থাকলে সেইসব রোগীদের আইসোলেশনের রাখতে হবে। প্রটোকল অনুযায়ী তাঁদের চিকিৎসা চলবে। দু'জন রোগীর শয্যার মাঝে ১ মিটারের দূরত্ব রাখতেই হবে। চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের অবশ্যই পিপিই পড়তে হবে ও ঘন ঘন হাত ধুতে হবে।'

আরও পড়ুন- ‘বাড়ি ফিরব’, মমতাকে আর্জি আসামে আটকে থাকা ৬ বৃদ্ধ-বৃদ্ধার

বেশ কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতাল করোনা পজেটিভ রোগী ভর্তি করতে চাইছে না। বিগত কয়েকদিন ধরেই এই অভিযোগ আসছিল। এবিষয়ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে সতর্ক করেছে রাজ্য সরকার। মুখ্যসচিব মঙ্গলবার জানিয়েছেন, 'বেসরকারি বেশ কয়েকটা হাসপাতাল রোগীদের সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যেতে বলেছে। নির্দিষ্ট অভিযোগ মিলেছে। এই আচরণ মেনে নেওয়া হবে না। ডাক্তাররা যাতে হাসপাতালে পৌঁছতে পারেন তার জন্য সরকার গাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করছে। পিপিই ব্যবহারের প্রশিক্ষণও দেওয়া চলছে।' আইসিএমআর গাইডলাইন অনুসারে বেসরকারি সব হাসপাতালকেই আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরি করতে হবে বলে জানান মুখ্যসচিব।

মঙ্গলবার রাজ্য সরকারের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাংলায় করোনায় মৃতের সংখ্য়া ২২। চিকিৎসাধীন ৫২২। মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, 'পূর্ব মেদিনীপুরে ৮টি কনটেনমেন্ট জোন করা হয়েছে। এর মধ্য়ে ৫ টি জোন থেকে গত ৯ এপ্রিল থেকে কোনও কেস আসেনি। ২১ দিন হলে আমরা শিথিল করব কিছুটা। উত্তর ২৪ পরগনায় ৫৭টা কনটেনমেন্ট জোন রয়েছে, এর মধ্য়ে ১৩টি জোন থেকে কোনও কেস হয়নি গত ২ সপ্তাহে। কলকাতায় ২২৭টি কনটেনমেন্ট জোন রয়েছে, এর মধ্য়ে ১৮টি জোন থেকে কোনও কেস হয়নি গত ২ সপ্তাহে। হাওড়ায় ৫৬টি কনটেনমেন্ট জোন রয়েছে, ১৩টি জোন থেকে গত ২ সপ্তাহে কেস হয়নি'।

Read in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

West Bengal Lockdown
Advertisment