ডিভোর্স নয়, সংসার করার দাবিতে শ্বশুরবাড়ির দরজায় ধরনায় গড়িয়ার গৃহবধু। তবে শ্বশুরবাড়ি ছিল তালাবন্ধ। মহিলার দাবি, জোর করে তাঁকে একটি সাদা কাগজে সই করিয়ে নিয়েছেন তাঁর শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। গোটা বিষয়টি পুলিশে জানিয়েছেন ওই মহিলা। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
Advertisment
কলকাতা দক্ষিণ শহরতলির পাটুলির বাসিন্দা পাপিয়া বিশ্বাস। ২০২০ সালে দেখাশোনা করেই তাঁর বিয়ে হয় গড়িয়ার গোড়াগাছা এলাকার বাসিন্দা অরবিন্দ নস্করের সঙ্গে। বিয়ের পর থেকে মাঝেমধ্যেই চলত অশান্তি। শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বাপের বাড়িতে গিয়ে থাকতে শুরু করেন পাপিয়া। একটি কাজের সূত্রে বেশ কয়েক মাস তাঁকে হলদিয়ায় থাকতে হয়। স্বামী তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন না বলে দাবি তাঁর। বিষয়টি শ্বশুরবাড়ির অন্যদের জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি বলে দাবি গৃহবধূর।
তবে এই মহিলা সংসার করতেই চান। যদিও তাঁর দাবি, তাঁর স্বামী তাঁকে ডিভোর্স দিতে চান। বিহিত চেয়ে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশেরও দারস্থ হন পাপিয়া। গতকাল থেকেই শ্বশুরবাড়ির দরজার সামনে ধরনায় বসেছেন তিনি। যদিও বর্তমানে সেই বাড়ি তালাবন্ধ। পাপিয়ার অভিযোগ, জোর করে তাঁকে একটি কাগজে সই করিয়ে নেওয়া হয়।
তবে দীর্ঘদিন শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ না রেখে তিনি নিজেও ভুল করেছেন বলে জানিয়েছেন। যদিও তাঁর অভিযোগ, শাশুড়ি তাঁর উপর অত্যাচার চালাতেন। এমনকী তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টাও হয় বলে অভিযোগ মহিলার। ওই মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ।