আর কয়েক ঘন্টার অপেক্ষা, কাতার থেকে এবার উপহার আসছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর জন্য। কী সেই উপহার? নানা মহলে কৌতুহল তৈরি হয়েছে। যার নিরসন করেছেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র।
রাজীব গান্ধীর মন্ত্রিসভায় ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ছিলেন কংগ্রেসের তৎকালীন যুবনেত্রী মমতা বন্দ্যোরপাধ্যায়। সেই সময় থেকেই তাঁর ক্রীড়া প্রেমের কথা সকলের জানা। বাংলাতেও 'খেল দিবস' উদযাপন হয় মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণাতেই। বাংলার তিন প্রধান ক্লাব মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল, মহামেডন সহ অসংখ্য ক্লাবকে সাহায্য করেছে তৃণমূল সরকার।
এহেন 'খেলা প্রেমী' মুখ্যমন্ত্রীর জন্যই এবার বিশ্বকাপের মাঝে কাতার থেকে আসছে বিশেষ উপহার। বর্তমানে কাতারে রয়েছেন বিধায়ক মদন মিত্র। ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, ফ্রান্স, পর্তুগালের খেলা দেখে এবার তাঁর কলকাতায় ফেরার পালা। তাঁর হাত ধরেই আসছে মুখ্যমন্ত্রীর উপহার।
কাতারে দাঁড়িয়ে সাক্ষাৎকারে কামারহাটির 'রঙিন' বিধায়ক বলেন, 'আমি পাবলিক সার্ভেন্ট। বিধানসভা চলছে, এর মাঝে মমতা ব্যানার্জী যদি অনুমতি না দিতেন তাহলে আমার চৌদ্দ পুরুষেক কাতারে আসার হিম্মত হত না। কিন্তু আমি অবাক হয়ে গেলাম, উনি ২৩ তারিখ আমাকে বলছেন তুমি এখনও যাওনি? আমি বললাম, তুমি তো বললেন কয়েকদিন বাদে যাতে। তখন উনি বলছেন যাও যাও। এখনই যাও। ঘুরে এসো। তাই আমি মুখ্যমন্ত্রীর জন্য বিশ্বকাপের অফিসিয়াল বল আল রিলা নিয়ে যাচ্ছি। কারণ এই মুখ্যমন্ত্রীই ক্লাবগুলোকে ৫, ১০, ১৫ লাখ করে দিয়েছেন। তখন কত কথা। ক্লাবগুলো অবশ্য সেই টাকায় খেলার পরিকাঠামো করেছে। কয়েক হাজার ক্লাবকে ফুটবল দিয়েছেন। বিদেশ বসু ও মানস ভট্টাচার্যকে দিয়ে উনি ফুটবল তৈরির কারখানা করে দিয়েছেন। সরকারের ফুটবল। যে বলটার নাম জয়ী। সেই জয়ী মমতা ব্যানার্জীর হাতে আমি তুলে দেব অ্যাডিডাস ফুটবল।'
বিশ্বকাপের অফিসিয়াল ম্যাচ বলের নাম 'আল রিলা'। যা আরবি শব্দ। বাংলায় এর অর্থ ‘সফর’। ইবন বতুতার ভ্রমণবৃত্তান্ত থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই এই বলের নাম রাখা হয়েছে 'আল রিলা'। বলের ডিজাইন থেকে রং, সবেতেই ফুটিয়ে তোলা হয়েছে কাতারের সংস্কৃতি। পাশাপাশি বলটিকে ফুটবলারদের জন্য নিখুঁতভাব তৈরি করা হয়েছে। বলের বাউন্স থেকে সুইং কোনও কিছু নিয়েই ফুটবলারদের সমস্যা পড়তে হচ্ছে না। সেই বলই এবার উপহার হিসাবে পাচ্ছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।