Britania Factory Closed: বন্ধ হয়ে গেল তারাতলার প্রায় ১০০ বছরের পুরনো ব্রিটানিয়া বিস্কুট কারখানা। স্থায়ী-অস্থায়ী মিলিয়ে এক ধাক্কায় কাজ হারালেন শতাধিক শ্রমিক। কারখানায় উৎপাদন নিয়ে কোনও সমস্যা ছিল না বলে দাবি শ্রমিকদের। এমনকী উৎপাদিত বিস্কুটের বাজারে চাহিদাও ভালোই ছিল বলে দাবি তাঁদের। ঠিক কী কারণে কর্তৃপক্ষ কারখানা বন্ধের মতো সিদ্ধান্ত নিলেন, তা বুঝতে পারছেন না শ্রমিকরাও।
রাজ্যে আবারও বন্ধ হয়ে গেল আরও একটি কারখানা। তালা পড়ে গেল প্রায় ১০০ বছরের পুরনো এই কারখানায়। তারাতলায় বন্দরের জায়গা লিজে নিয়ে দশকের পর দশক ধরে চলছিল এই ব্রিটানিয়া বিস্কুট কারখানা। ব্রিটানিয়া বিস্কুটের সঙ্গে বাঙালির আবেগ জড়িয়ে আছে। স্বাভাবিকভাবেই এত পুরনো একটি বিস্কুট কারখানা বন্ধ হওয়া যাওয়া নিয়ে চর্চা বাড়ছে।
কারখানার শ্রমিকদের দাবি উৎপাদন ভালোই চলছিল। বিস্কুটের বিক্রিও ভালোই ছিল। ঠিক ঠিক কী কারনে ম্যানেজমেন্ট কারখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিল তা তাদের কাছে এখনও স্পষ্ট হয়নি। এদিকে ব্রিটানিয়া বিস্কুট কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়া নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন রাজনৈতিক নেতারা।
আরও পড়ুন- Dilip Ghosh-BJP: ফের বঙ্গ BJP-তে বিরাট দায়িত্বে দিলীপ? পদ্ম নেতার চূড়ান্ত তৎপরতা জল্পনা বাড়াচ্ছে
আরও পড়ুন- Protest at Parliament: লোকসভার অধিবেশন শুরুর আগে বেনজির প্রতিবাদ, কংগ্রেসের নেতৃত্বে বিক্ষোভে তৃণমূল
বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার কারখানা বন্ধের দায় রাজ্যের তৃণমূল সরকারের ঘাড়ে চাপিয়েছেন। তাঁর কথায়, "তৃণমূলের তোলাবাজিতে কোনও শিল্প রাজ্যে চলতে পারবে না।"
এদিন কারখানার এক কর্মী জানিয়েছেন, সোমবার তাঁরা কাজে গিয়ে দেখেন কারখানার গেটে সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিশ ঝুলছে। কর্মীদের একাংশ জানিয়েছেন, স্থায়ী কর্মীদের ক্ষতিপূরণ দিয়েছে সংস্থা। যারা এই ব্রিটানিয়া কোম্পানিতে ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে কাজ করছেন সেই কর্মীরাই সবথেকে বেশি ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন। বন্দরের জমিতে ৯৯ বছরের লিজ নিয়ে চলছিল ব্রিটানিয়া কারখানা। ২০১৮ সালে সেই লিজ আরও ৩০ বছর বাড়িয়ে নেয় সংস্থাটি। আর তাই আচমকা কেন কারখানার ঝাঁপ পড়ল তা এখনও স্পষ্ট নয়।
আরও পড়ুন- Kolkata Metro: মেট্রো যাত্রীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ খবর! আজ থেকেই রাতের মেট্রোর সময় বদলে যাচ্ছে