Advertisment

Premium: আবেগে ভেসে 'নস্ট্যালজিক' আপামর বাঙালি, ব্রিটানিয়ার বিজ্ঞাপনে ফিরল শোলের স্মৃতি

যে কোম্পানি দাসত্বের অন্ধকার দেখেছিল এবং স্বাধীনতার প্রথম প্রভাতও দেখেছিল, সেই কোম্পানি আজ সংকটে। ব্রিটানিয়া বিস্কুট আর কেক খায়নি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুসকিল। আজ দেশের প্রথম বিস্কুট ব্রিটানিয়া খবরের শিরোনামে। তারাতলা ইউনিট বন্ধ হতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Taratala Britannia Unit, History of Taratala Britannia Unit"

ব্রিটানিয়ার বিজ্ঞাপনে ফিরল শোলের স্মৃতি

Britannia Kolkata Factory Closed: "গব্বর কি আসলি পাসন্দ"…ব্রিটানিয়া গ্লুকোজ-ডি! এই এক বিজ্ঞাপন বাজারে অন্যান্য বিস্কুট সংস্থার বুকে কাঁপুনি ধরিয়েছিল। প্রতিযোগিতার বাজারে তখন পার্লে জি-কে ছুঁড়ে দিয়েছিল কঠিন চ্যালেঞ্জ। মাত্র ২৯৫ টাকা দিয়ে শুরু, আজ টার্নওভার ১ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি। এখন বাংলার বুকে ব্রিটানিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম কারখানা বন্ধ!

Advertisment

যে কোম্পানি 'দাসত্বের' অন্ধকার দেখেছিল এবং স্বাধীনতার প্রথম প্রভাতও দেখেছিল, সেই কোম্পানি আজ সংকটে। ব্রিটানিয়া বিস্কুট আর কেক খায়নি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুসকিল। আজ দেশের প্রথম বিস্কুট ব্রিটানিয়া খবরের শিরোনামে। তারাতলা ইউনিট বন্ধ হতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক।

বিশ্বের ৬০টি দেশে ব্যবসা করে এমন বৃহৎ ব্রিটানিয়া কোম্পানিকে কলকাতা ইউনিট বন্ধ করতে হয়েছে। ১২২ জন কর্মচারীকে ভিআরএস দিয়েছে সংস্থা। যে বিস্কুটের গল্পে শুধু ভারত নয়, সারা বিশ্বই পাগল! সেই বিস্কুটের শুরুটা হয়েছিল কলকাতার একটি ছোট্ট ঘরে মাত্র ২৯৫ টাকার পুজির উপর ভর করে। যার সঙ্গে জড়িয়ে বাংলার আবেগ।

একাধিক মালিকানা বদল, ঠিকানা বদল হলেও বিস্কুট বিক্রিতে কোনো প্রভাব পড়েনি। কোম্পানির শ্রীবৃদ্ধি দিনে দিনে বাড়তে থাকে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরে সংস্থার অংশীদারিত্ব কিনে নেন সি এইচ হোমস নামক এক ব্রিটিশ শিল্পপতি । ব্রিটেনের নাম ধরেই কোম্পানির নাম হয় 'ব্রিটানিয়া বিস্কুট কোম্পানি'।

১৯২৪ সালে, কোম্পানিটি মুম্বইতে একটি বড় কারখানা স্থাপন করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়, যখন অন্যান্য কোম্পানি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছিল, তখন ব্রিটানিয়া তার বিক্রি বাড়তে থাকে। সংস্থাটি সেনাদের বিস্কুট সরবরাহের জন্য একটি বড় অর্ডার পায়। যা তার বিক্রি একলাফে ৮ শতাংশ বাড়িয়ে ১.৩৬ কোটি টাকা করে। ১৯৭৯ সালে, কোম্পানির নাম ব্রিটানিয়া লিমিটেড থেকে ব্রিটানিয়া ইন্ডাস্ট্রিজে বদল হয়।

১৯৯৩ সালে মুম্বইয়ের বিখ্যাত ওয়াদিয়া গোষ্ঠীর কর্ণধার নুসলি ওয়াদিয়া ব্রিটানিয়া সংস্থাকে কিনে নেন । ওয়াদিয়া পরিবারের হাতে আসার পরেই বিদেশি বিস্কুটে আসে ভারতীয় ছোঁয়া । প্রতিষ্ঠানটির অনেক পণ্য থাকলেও রাজস্বের ৮০ শতাংশ আসে বিস্কুট উৎপাদন থেকে। বর্তমানে কোম্পানির ১.২৯ লক্ষ কোটি টাকা।

এদিকে কলকাতা তারাতলা ইউনিট বন্ধের ঘোষণার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে ব্রিটানিয়ার সেই ঐতিহাসিক বিজ্ঞাপন। যেখানে শোলে ছবির গব্বরের মুখে ব্রিটানিয়া বিস্কুটের প্রশংসা শোনা যায়। আদতে সেই বিজ্ঞাপনটি নেটিজেনদের মনে নাড়িয়ে দিয়েছে পুরনো স্মৃতি।
বিজ্ঞাপনে গব্বরকে তার নিজস্ব স্টাইলে তাঁর সঙ্গী কালিয়াকে বলছে, ‘গাঁও সে মেরে লিয়ে কেয়া লায়া রে?’ তখন কালিয়াকে গব্বরকে বেশ কয়েকটি বিস্কুট দিতে দেখা যায়। কিন্তু তা দেখেই গব্বর তো রেগে লাল । শূন্যে গুলি চালিয়ে চেঁচিয়ে বলে ওঠে গব্বর। সঙ্গে বলে ওঠে ‘মেইনে হাজার বার কাহা হ্যায় কি মুঝে আসলি চিজ চাহিয়ে।’ এর পরই গব্বরের হাতে দেওয়া হয় ব্রিটানিয়ার 'গ্লুকোজ-ডি' বিস্কুটের প্যাকেট। আর তা দেখেই গব্বরকে আনন্দে বলতে শোনা যায় 'আব আয়েঙ্গে মজা।’"গব্বর কি আসলি পাসন্দ"…ব্রিটানিয়া গ্লুকোজ-ডি!

Britannia Britania Factory Closed
Advertisment