Purnam Shaw: দীর্ঘ উৎকণ্ঠায় কেটেছে ২২ টা দিন। অবশেষে দেশে ফিরেছেন পাক রেঞ্জার্সের হাতে আটক হুগলির বিএসএফ জওয়ান পূর্নম কুমার সাউ। খুশির জোয়ার বইছে রিষড়ার সাউ বাড়িতে। ভারতের চাপের মুখে সাউ বাড়ির ছেলে বিএসএফ জওয়াকে অবশেষে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছে পাকিস্তান। গতকাল সকাল সাড়ে দশ'টার সময় বিএসএফ-এর পক্ষ থেকে পূর্ণম এর স্ত্রী রজনীর কাছে ফোন করে জানানো হয় তাঁর স্বামীকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
সুখবর পেতেই উৎসবের চেহারা নিয়েছে হুগলির রিষড়া শহরের পীতাম্বর লাহা লেনের ছোট্ট দোতলা বাড়িটি। বুধবার সকালে খবরে মিলতেই এলাকায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক নেতাদের আনাগোনা। সকালে একদল, তো সন্ধ্যায় আরেক দল হাজির হয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যদের।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সাউ পরিবারের বাড়ির দোতলায় বসেই রজনী জানিয়েছেন, "পূর্ণমের বিএসএফ চাকরি ১৭ বছর পূর্ণ হয়েছে, আর আমাদের বিয়ে হয়েছে ১০ বছর। এর মধ্যে কোনওদিন এমন উৎকণ্ঠা আসেনি জীবনে। শেষ কটা দিন ভয় আর চিন্তায় কাটিয়েছি। এখন স্বামী ফিরে এসেছেন, সেটাই বড় স্বস্তি। আমি গর্বিত আমার স্বামীর জন্য, দেশের জন্য।"
বর্তমানে তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা রজনী। সেই অবস্থাতেও তাঁর সাহসিকতা ও মানসিক দৃঢ়তাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন বাংলার মানুষ। বুধবার সন্ধ্যেতেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বাড়িতে এসে রজনীকে ‘সাহসী বোন’ বলে সম্মান জানান। রজনী তাঁর সামনে একটি দেশাত্মবোধক গানও গেয়ে শোনান।
পূর্ণম ও রজনীর একমাত্র সন্তান আরভ-এর বয়স এখন মাত্র ৮ বছর। রিষড়ার এক ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র সে। বাবার ফিরে আসার খবর পেয়েই জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে বাড়ির মধ্যে দৌড়ঝাঁপ শুরু করে সে। ছেলের এই দেশপ্রেম দেখে রজনী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, ছেলেকে ভবিষ্যতে সেনা অফিসার (Army Officer) বানাবেন। তবে সাধারণ ফৌজি নয়, মস্ত ফৌজি অফিসার। এদিন সিপিআইএম-এর হুগলি জেলা সম্পাদক দেবব্রত ঘোষ (Debabrata Ghosh) সহ দলের প্রতিনিধিরাও তাঁদের বাড়িতে এসে শুভেচ্ছা জানান।
রাত হতেই চড়ল পারদ, বিকাশ ভবনের সামনে ধুন্ধুমার, লাঠিচার্জ