নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের বিএসএফের ক্যাম্পে এক মহিলা কনস্টেবলকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল বাহিনীরই এক সিনিয়ার আধিকারিকের বিরুদ্ধে।মহিলা কনস্টেবলের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ইতিমধ্যেই ‘জিরো এফআইআর’ দায়ের করেছে। বিএসএফ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত বিএসএফ কর্তাকে ইতিমধ্যেই সাসপেণ্ড করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে। মহিলার অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
নদীয়ায় এক মহিলা কনস্টেবলকে ধর্ষণের অভিযোগ বিএসএফের এক সিনিয়র আধিকারিকের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই মহিলা কনস্টেবলের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ‘জিরো এফআইআর’দায়ের করে সংশ্লিষ্ট থানায় হসান্তর করেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে নদীয়া জেলা পুলিশ। একই সঙ্গে বিএসএফ’ও অভিযুক্ত ওই আধিকারিকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। বিএসএফ মহিলা কনস্টেবলকে ধর্ষণের অভিযোগে বিএসএফ ‘ইন্সপেক্টরের’ বিরুদ্ধে ‘জিরো এফআইআর’ দায়ের করে কলকাতা পুলিশ। কলকাতা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে এফআইআরটি নদিয়ার সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে ঘটনাটি ঘটে গত ১৮’ই ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে। মহিলা কনস্টেবল নদীয়া সীমান্তবর্তী এলাকায় এক ফাঁড়িতে ডিউটি রত ছিলেন। রাতেই কাজের আছিলায় তাকে ডেকে ধর্ষণ করা হয় বলেই অভিযোগ। এরপর মহিলাকে কলকাতার সেনা হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে তাকে এসএসকেএম হাসপাতালে রেফার করা হয়।
আরও পড়ুন: < কর্মবিরতিতেও টনক নড়েনি, নবান্নকে ‘সবক’ শেখাতে ৯ মার্চ ধর্মঘটের ডাক সরকারি কর্মী সংগঠনগুলির >
পুলিশ দাবি করেছে যে বিএসএফ ‘ইন্সপেক্টরের’ বিরুদ্ধে মহিলা ভবানীপুর থানায় এফআইআর দায়ের করেন। মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে ‘জিরো এফআইআর’দায়ের করে কলকাতা পুলিশ। পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে আদালতে অভিযোগকারিণীর গোপন জবানবন্দিও নথিভুক্ত হয়েছে। নির্যাতিতাও এখন এসএসকেএমে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বিএসএফ সূত্রে খবর, অভিযোগের পর অভিযুক্ত বিএসএফ ইন্সপেক্টরকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। বিএসএফও এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে। তবে এখন পর্যন্ত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়নি। বিএসএফ সূত্রে বিভাগীয় তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত অভিযুক্ত আধিকারিককে নিয়ে বিস্তারিত মন্তব্য করতে অস্বীকার করা হয়েছে। টিএমসির রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ গোটা ঘটনায় বিজেপির প্রতিক্রিয়ার দাবি করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও গোটা ঘটনার জেরে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
এর আগেও একটি গণধর্ষণ মামলায় তিন বিএসএফ জওয়ানের নাম সামনে এসেছিল। ২০২২ সালের নভেম্বরে, রাজস্থানের জয়পুরে এক গণধর্ষণের ঘটনায় তিন বিএসএফ জওয়ানের নাম সামনে আসে। এই ঘটনায় তদন্তের জন্য তিন জওয়ানকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন আধিকারিকরা।