লটারিতে ১কোটি টাকা পেয়েছেন বুদবুদ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান রুদ্রপ্রসাদ কুন্ডু। যা নিয়ে শুক্রবার সকাল থেকে শোরগোল পরে যায়।
জানা গেছে বুদবুদ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান রুদ্র প্রসাদ কুন্ডুর একটি লটারির দোকান রয়েছে বুদবুদ বাজারে। সেই দোকানে নিত্যদিন বহু মানুষ লটারি কাটেন। অনেকেই সেই দোকান থেকে লটারির টিকিট কেটে পুরস্কারও পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাত্রে রটে যায় লটারি দোকানের মালিক রুদ্র প্রসাদ কুন্ডু লটারি জিতেছেন। একেবারে এক কোটি টাকা। এরপরই হুলস্থূলকাণ্ড। অনুব্রত মণ্ডলের মতোই অন্যের লটারি কিনে রুদ্রবাবু কালো টাকা সাদা করেছেন, এমনই আশঙ্কা করে একটি টিভি চ্যানেলে সম্প্রচার হতে থাকে।
যার দরুন অস্বস্তিতে পড়তে হয় তৃণমূল নেতৃত্বকে।গলসি ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূলের ব্লক সভাপতি জনার্ধন চট্টোপাধ্যায় জানান, এই ঘটনার কথা তিনিও জানতে পেরেছেন। রুদ্রপ্রসাদ কুন্ডুর নিজের একটি লটারির এজেন্সি রয়েছে। তবে তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ যদি সত্যি হয় তবে আইন আইনের পথে চলবে।
ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই সুর চড়ায় বিজেপি। বিজেপির বর্ধমান সদরের জেলা সহ-সভাপতি রমন শর্মা বলেন 'অনুব্রত মণ্ডল যেভাবে কালো টাকাকে সাদা করতে লটারি টিকিটের পন্থা অবলম্বন করেছেন সেই শিক্ষা তিনি নিজের চ্যালাদেরও দিয়েছেন। এরই ফলে যত দিন যাচ্ছে ততই একের পর এক তৃণমূল নেতা কর্মীদের দুর্নীতি সামনে আসছে।'
প্রবল হয়রানি হচ্ছে দেখে এরপরই দুপুরে বুদবুদ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান রুদ্র প্রসাদ কুন্ডু বুদবুদ থানায় লিখিত অভিযোগ জানান। অভিযোগ, তাঁর নামে ভুয়ো খবর ছড়ানো হয়েছে। এমনকী সংবাদ মাধ্যমও তাঁর বিরুধ্যে ভুয়ো খবর ছড়িয়েছে। রুদ্বাবুর দাবি, তাঁর লটারির দোকান থেকে বহু মানুষ লটারি কাটেন। অনেক মানুষ লটারিতে পুরস্কারও পান। তবে কারোর লটারির টাকা নিয়ে বা টিকিট নিয়ে তিনি কোনও দুর্নীতি করেননি।