হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হল রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে। পূর্ব ঘোষণা মতো, বুধবার তাঁকে ছুটি দিল হাসপাতাল। এদিন স্ট্রেচারে করে এনে তাঁকে অ্যাম্বুল্যান্সে তোলা হয়। সঙ্গে ছিলেন চিকিৎসক এবং স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে হাসপাতাল থেকে বেরনোর সময় দেখা যায়, তাঁর দাড়ি-গোঁফ পরিষ্কার করে কামানো। মুখে সার্জিক্যাল মাস্ক ছিল। পাশে রাইলস টিউব। হাত ধরে ছিলেন এক জন চিকিৎসক। অতি সন্তপর্ণে তাঁকে ধরে অ্যাম্বুল্যান্সে তোলা হয়। ১২টা ১৫ মিনিট নাগাদ বাড়ি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে তাঁর বাড়ি পৌঁছয় অ্যাম্বুল্যান্সটি।
Advertisment
হাসপাতাল থেকে ছাড়া হলেও আরও কিছুদিন তাঁকে হোম কেয়ার চিকিৎসায় রাখার সিদ্ধান্ত মেডিক্যাল বোর্ডের। সেই কারণেই তাঁর বিছানা থেকে শুরু করে ঘরের অন্যান্য সামগ্রী কোথায় কীভাবে থাকলে শারীরিক দিক থেকে বুদ্ধবাবু ভাল থাকবেন সেদিকটিই খতিয়ে দেখে গিয়েছেন তাঁরা।
বুদ্ধবাবুকে ছুটি দেওয়ার সময় হাসপাতালের তরফে বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘‘যখন ওঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল, তখন ওঁর শ্বাসকষ্ট ছিল। তন্দ্রাভাব ছিল। পরীক্ষার পর অ্যান্টিবায়োটিক, নেবুলাইজেশন থেরাপি দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসার জন্য ১১ সদস্যের একটি মেডিক্যাল টিম তৈরি করা হয়। তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন ওঁকে নন-ইনভেসিভ ভেন্টিলেশনে রাখার। বুদ্ধদেবের ফুসফুসে নিউমোনিয়া সৃষ্টিকারী জীবাণু শনাক্ত করি আমরা। এর পর অ্যান্টিবায়োটিক থেরাপির বদলও হয়।’’
হাসপাতালে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে বিছানা থেকে তুলে ইতিমধ্যেই হাঁটা-চলা করিয়েছেন চিকিৎসকরা। রাইলস টিউব পরানো থাকলেও, মুখ দিয়ে স্বাভাবিকভাবে তরল খাবার খাওয়ানো হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বাড়িতেও বুদ্ধবাবুকে বাইপ্যাপ ও রাইলস টিউব পরানো থাকবে।
সূত্রের খবর, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বাড়িতে যে ঘরে থাকেন সেই ঘরটির জীবাণুনাশের কাজও ইতিমধ্যেই করা হয়েছে। তিনি এক কামরার একটি ঘরে থাকেন। বারবার বলা হলও ঘর বদলে রাজি নন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ। সেই কারণেই সেই ছোট্ট ঘরেই চিকিৎসার বেশ কিছু সামগ্রী মজুত রাখা হচ্ছে। বেড সাইড মনিটর, অক্সিজেন কনসেনট্রেটর, নেবুলাইজার, বাইপ্যাপ রাখা হচ্ছে। ঘরে কোথায় সেসব যন্ত্রপাতি বসবে তা ইতিমধ্যেই গিয়ে দেখে এসেছেন উডল্যান্ডস হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীরা।