Ira Basu: ইরা বসুর ঘটনায় এবার মুখ খুললেন সুচেতনা ভট্টাচার্য। মাসির ব্যবহারে অত্যন্ত বিরক্ত বাবা-মা। এভাবেই সরব হয়েছেন বুদ্ধদেব-কন্যা। তাঁর বিবৃতি, ‘ইরা বসুর কোনও সম্পত্তি আমি গ্রহণ করব না। উনার ব্যবহারে আমি, বাবা-মা অত্যন্ত বিরক্ত। কোনও বিষয়ে যাতে আমাকে নমিনি না করা হয়। এবং ভবিষ্যতে কোনও বিষয়ে যাতে আমাদের অন্তর্ভুক্ত না করেন ইরা বসু।‘
সম্প্রতি ফুটপাথবাসীনি হয়ে খবরের শিরোনামে এসেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শ্যালিকা। সেই জীবনযাপন নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করেছেন প্রাক্তন শিক্ষিকা ইরা বসু। পাশাপাশি বিবৃতি দিয়ে নিজেদের অবস্থান জানিয়েছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্যও। বর্তমানে খড়দহের বাসিন্দা ইরা বসু। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকাকালীন লোক পাঠিয়ে তাঁর খোঁজ নিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার নবান্ন সূত্রে খবর ২০০৯ থেকে আটকে থাকা তাঁর পেনশন খুব দ্রুত চালু হবে। সে বছর থেকে জমে থাকা টাকাও পাবেন ইরা দেবী।
এতদিন কেন পেনশন আটকে ছিল? সেই প্রশ্নের জবাব তিনি বলেন, ‘খানিকটা আমার গাফিলতি। আমাকে একটা সার্টিফিকেট আর রেজিস্ট্রেশন নম্বর জমা দিতে বলেছিল। সেটা জোগাড় করে উঠতে পারিনি। হয়তো পূর্বতন সরকারকে বললে কাজটা হয়ে যেত। কিন্তু আমি কারও কাছে যাইনি।‘
বুধবার ইরা বসুর বাড়ি গিয়ে পেনশন নথি তুলে দিলেন ডিআই। ১২ বছর ধরে আটকে থাকা পেনশন এবার হাতে পাবেন জীববিদ্যার প্রাক্তন শিক্ষিকা। সেই উদ্যোগের জন্য মুখ্যমন্ত্রী এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়লে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। এদিন খানিকটা আশ্বস্ত ইরা দেবী খড়দহের বাড়িতে বসে বলেছেন, ‘আবার শিক্ষকতায় ফিরব। তবে এই বাড়ি থেকে সেটা সম্ভব হবে না। তাই ভালো বাড়ি খুঁজব। আপাতত সামনের কয়েক বছর এখানেই থাকবো।‘
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন