সোমবার পেশ হওয়া রাজ্য বাজেটে অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র একাধিক প্রকল্প ঘোষণা করেন। কিন্তু এই বাজেট পেশ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। অর্থমন্ত্রীর বাজেট পেশের বক্তব্য যখন টিভিতে লাইভ সম্প্রচারিত হল, তখন কেন তার ভাষণ সম্প্রচারিত হয়নি, সেই বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন রাজ্যপাল।
নিজের টুইটারে রাজ্যপাল লেখেন, “রাজ্যের অর্থমন্ত্রী ডঃ অমিত মিত্রের বাজেট পেশের বক্তব্য লাইভ হয়েছে। অথচ, সংবিধানের ১৭৬ ধারার অধীনে গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান হিসেবে বাজেটে রাজ্যপালের ভাষণের সময় কোনও লাইভ সম্প্রচারণ কিংবা মিডিয়ার প্রবেশ গ্রাহ্য করা হয়নি। এই বিষয়ে রাজ্যের সাধারণ মানুষই সিদ্ধান্ত নেবে।”
The State Finance Minister Dr Mitra budget speech was live while the address of the Governor under Article 176, an important occasion, in sharp deviation to practice was not allowed live coverage and media was also kept away. Leave to judgment of the people of the State !
— Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) February 10, 2020
এখানেই শেষ নয়। সাংবিধান প্রধানকে সেন্সার করা হচ্ছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন জগদীপ ধনকড়। টুইটারে তিনি লেখেন, 'এটি মিডিয়ার ক্ষেত্রে করুণ পরিণতি। এটা কী সাংবিধানিক প্রধানের ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য অভিব্যক্তি? এটা কি সাংবিধানিক প্রধানের প্রতি অসহিষ্ণুতা নয়? এটি কি এক ধরণের সেন্সরশিপ নয়? আমি নিশ্চিত যে মিডিয়া এবং জনসাধারণ কেবল নীরব দর্শক হবে না।'
This is of critical consequence for media. Is this acceptable expression of ideas ? Is it not intolerance of the constitutional head ? Is it not a kind of censorship ? I am sure the media and public would not be just silent spectators.
— Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) February 10, 2020
পরে রাজভবনের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, 'রাজ্যপালের বক্তব্য সরাসরি সম্প্রচার না করার অর্থ তাঁর মতামত প্রকাশের অধিকারকে ব্যাহত করা।'
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও স্পিকার অবশ্য রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের টুইট বক্তব্য নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি।
আরও পড়ুন: ‘ঘুষ দিয়েও ভোট পাওয়া যাবে না’, মমতাবাহিনীকে খোঁচা দিলীপের
বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা বলেন, 'এটা গণতন্ত্রের লজ্জা। অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতা সরাসরি সম্প্রচারিত হলেও স্পিকার রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের ভাষণ সরাসরি সম্প্রচার করতে অনুমতি দিলেন না।'
বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী সম্পূর্ণ বিষয়টির নিন্দা করে বলেন, 'সরকার ভেবেছিল রাজ্যপাল যদি তাদের অনুমোদিত ভাষণপাঠ না করেন তবে বিতর্ক দেখা দেবে। সেই ভয়েই রাজ্যপালের ভাষণ সরাসরি সম্প্রচার করা হয়নি।' বাজেট অধিবেশনের রাজ্যপালের প্রারম্ভিক ভাষণ নিয়ে জলঘোলা হয়েছিল। নবান্ন অনুমোদিত ভাষণ না দেখে পাঠ করবেন না বলে হুমকি দিয়েছিলেন ধনকড়। শেষপর্যন্ত অবশ্য নবান্নের পাঠানো লিখিত ভাষণই পাঠ করেন রাজ্যপাল।
Read the full story in English