রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের ভাষণ দিয়ে শুরু হল বাজেট অধিবেশন। শোকপ্রস্তাব পাঠ শেষ হতেই সভাকক্ষে বেনজির অবস্থা তৈরি হয়। সভাকক্ষে তৃণমূল সরকারের নানা কাজের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। কাগজ ছিঁড়ে প্রতিবাদও চলে তাঁদের। তুমুল হইহট্টগোলের মাঝেই অবশ্য নিজের ভাষণ থামাননি রাজ্যপাল।
নিজের ভাষণে রাজ্য সরকারের ভূয়সী প্রসংসা করছেন রাজ্যপাল। করোনাকালে মুখ্যমন্ত্রীর কাজের কথা তুলে ধরেন। বঙ্গের আইন-শৃঙ্খলা উন্নত হচ্ছে বলে ভাষণে তুলে ধরেছেন আনন্দ বোস। সেই সময়ই বিজেপি বিধায়কদের ‘চোর ধরো জেল ভরো’ স্লোগান তীব্র হয়। বিধানসভা কক্ষে তখন তুমুল শোরগোল। এভাবেই বেশ কিছুক্ষণ চলতে থাকে।
পরে, রাজ্যপালের ভাষণের মাঝেই ওয়াকআউট করেন বিজেপি বিধায়করা। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিধানসভা চত্বরে প্রতিবাদ আন্দোলন শুরু করেন। রাজ্যপাল বিধানসভা ত্যাগের সময়ও প্ল্যাকার্ড হাতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেন বিজেপি বিধায়করা। শুনতে পাওয়া যায়, ‘চোর চোর’, ‘গো ব্যাক’ স্লোগান।
বিগত কয়েক বছরে এদিনের উল্টো ছবি দেখেছে রাজ্য। রাজ্যপালের পক্ষেই নানা কথা বলতে শোনা গিয়েছিল বিজেপি বিধায়কদের। এদিন অবশ্য তা হল না। উল্টে রীতি বজায় রেখে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন গেরুয়া বিধায়করা। কেন এই প্রতিবাদ? হরিণঘাটার বিজেপি বিধায়ক অসীম সরকারের কথায়, ‘তৃণমূল সরকার চোরের সরকার। চাকরি, আবাস যোজনা থেকে সবকিছুতে চুরি হয়েছে। তাও রাজ্যপাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের প্রশংসা করে চলেছেন। অসত্য ভাষণ দিলেন। রাজ্যপাল চাইলে ধনকড়জির মত অন্য অবস্থান নিতে পারতেন। কিন্তু সেটা নেননি তিনি। আমরা রাজ্যপালের এই ভূমিকা মানতে রাজি নই। তাই অধিবেশনের মধ্যে ও বাইরে আমরা প্রতিবাদ করলাম।’
আরও পড়ুন- ধনকড়-আনন্দ বোস ‘এক নন’, এক বছর আগে কী করেছিলেন বিজেপি ‘বন্ধু’ জগদীপ?