School: অনেক সরকারি স্কুলের পরিকাঠামো নিয়ে প্রায়শই নানা অভিযোগ করেন অভিভাবকরা। ভাঙাচোরা স্কুল বিল্ডিংয়ে যেমন বিপদের আশঙ্কা থাকে, তেমনই স্কুলে যাওয়ার প্রতি ঝোঁকও কমতে থাকে পড়ুয়াদের। এখনও একাধিক বিদ্যালয় ভবনের বেহাল দশা রয়েছে। কোনও কোনও স্কুল ছাত্রছাত্রীদের বিদ্যালয়মুখী করতে নানা তৎপরতা নেয় মাঝেমধ্যেই। তবে ছাত্রছাত্রীদের স্কুলমুখী করে তুলতে রাজ্যের এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির এমন নজরকাড়া উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসা কুড়িয়েছে।
পড়ুয়াদের স্কুলমুখী করতে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই নানা তৎপরতা নেয়। তবে এমন উদ্যোগ বেশ কমই চোখে পড়ে। যেটা করে দেখিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির (Kanthi) নয়াপুট সুধীর কুমার হাইস্কুল। গোটা স্কুল জুড়ে অনিন্দ্যসুন্দর এক পরিবেশ গড়ে তোলা হয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের (Students) বিদ্যালয়মুখী করার এমন প্রয়াসের প্রশংসায় বিভিন্ন মহল।
অনেক সময়ে সরকারি স্কুলের (Govt. School) পরিকাঠামো ও পঠন-পাঠনের মান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অভিভাবকরা। ছাত্রছাত্রীরাও অনেক স্কুলের পঠনপাঠন নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে। বেশ কিছু জায়গায় ভাঙাতোরা বিল্ডিংয়ের কারণেও স্কুলে যেতে মন চায় না পড়ুয়াদের। মোটের উপর স্কুলে সুষ্ঠু পরিবেশের অভাবেই বিদ্যালয় বিমুখতা বাড়ছে একাংশের পড়ুয়াদের মধ্যে। সেই কারণেই অনেক সরকারি স্কুলে পড়ুয়াদের উপস্থিতিও কমছে। স্কুলছুট পড়ুয়াদের সংখ্যাও বাড়ছে দিন দিন।
ট্রেনের আদলে তৈরি স্কুল ভবন।
এই পরিস্থিতিতে যুগান্তকারী তৎপরতা নিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) কাঁথি ১ নম্বর ব্লকের সমুদ্র উপকূলের নয়াপুট সুধীর কুমার হাইস্কুল (Nayaput Sudhir Kumar High School) । স্কুল
কর্তৃপক্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিবেশকে আনন্দদায়ক ও চিত্তাকর্ষক করে তুলেছে।
আরও পড়ুন- Kolkata Weather Today: কাঁপানো ঠান্ডা বাংলায়! হু হু করে নামছে পারদ, ফের বৃষ্টি কোন কোন জেলায়?
গোটা বিদ্যালয় ক্যাম্পাসের চারটি ভবনের প্রতিটি দেওয়ালে এমনকী সিঁড়ির প্রতিটি ধাপে আঁকা হয়েছে শিক্ষা সম্পর্কিত নানা তথ্য। এছাড়াও রয়েছে ক্যাম্পাস জুড়ে বিভিন্ন শিক্ষামূলক চিত্রাঙ্কন। চন্দ্রযান-৩ (Chandrayan 3) সহ বিভিন্ন মডেল নির্মিত হয়েছে। শিশুদের আকর্ষিত করতে রয়েছে অ্যাকোরিয়াম-সহ সুসজ্জিত পার্ক ।
স্কুল ক্যাম্পাসে চন্দ্রযান ৩ এর মডেল।
নতুন সংযোজন আস্ত ট্রেনের (Train) আদলে বিদ্যালয় ভবন। প্ল্যাটিনাম জুবিলি বর্ষ উদযাপনের স্মৃতিকে স্মরণীয় করে রাখতে এই বিদ্যাসাগর ভবনের নামকরণ হয়েছে ট্রেন। এর রূপটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘১৯৪৭-২০২২ নয়াপুট এস কে এইচ এস প্ল্যাটিনাম এক্সপ্রেস'। এই ট্রেন-সম বিদ্যালয় ভবনটি দেখে ছাত্র-ছাত্রীরাও যেমন বেশ খুশি, তেমনই খুশি অভিভাবক থেকে শুরু করে স্থানীয় মানুষজন। পাঁচটি শ্রেণিকক্ষ যুক্ত এই ভবনটির বর্দ্ধিত অংশের তিনটি শ্রেণিকক্ষ তৈরিতে খরচ হয়েছে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা।