Advertisment

পাগলা ভোলা খেপেছে! মহেশ্বরের বাহনের তাণ্ডবে তটস্থ ভাতারের গ্রাম

ভোলার সন্ত্রাস দমনের জন্যে স্থানীয় পঞ্চায়েত ও ব্লক প্রশাসন থেকে শুরু করে মহকুমা শাসক, জেলাশাসক, এমনকি রাজ্যের এক মন্ত্রীকেও চিঠি পাঠিয়েছেন। কিন্তু তাতেও ভোলার কোনও হেলদোল নেই।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Bull Attacks

মাস ছয়েক আগে মালিকানাহীন এই ষাঁড়ের আবির্ভাব ঘটে ভাতারের রামচন্দ্রপুর কলোনি এলাকায়।

Bull Attacks: নেতারা তো কোন ছাড়! প্রশাসনকেও ডোন্ট কেয়ার মনোভাব দেখিয়েই চলে ভোলা। তার সন্ত্রাস লাগাম ছাড়ায় আতঙ্কে দিন কাটে পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের মাহাতা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত রামচন্দ্রপুর ১ কলোনির বাসিন্দাদের। তাঁরা ভোলার সন্ত্রাস দমনের জন্যে স্থানীয় পঞ্চায়েত ও ব্লক প্রশাসন থেকে শুরু করে মহকুমা শাসক, জেলাশাসক, এমনকি রাজ্যের এক মন্ত্রীকেও চিঠি পাঠিয়েছেন। কিন্তু তাতেও ভোলার কোনও হেলদোল নেই। প্রশাসনও যেন ভোলার কাছে অসহায়! এমতাবস্থায় ভোলার সন্ত্রাস থেকে মুক্তি পেতে গ্রামবাসীদের এখন ভরসা বাবা ভোলা মহেশ্বর।

Advertisment

গোটা গ্রাম। প্রশাসনও কার্যত অসহায়। স্বাভাবিক ভাবেই এলাকার বাসিন্দারা তাই প্রমাদ গুনছেন। ভোলার বেলাগাম হামলার বিষয়টি স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে ব্লক প্রশাসনের পাশাপাশি মহকুমা ও জেলা প্রশাসনকেও জানানো হয়েছে। জানানো হয়েছে খোদ এক মন্ত্রীকেও। পূর্ব বর্ধমানের ভাতার ব্লকের মাহাতা গ্রাম পঞ্চায়েতের রামচন্দ্রপুর ১ নম্বর কলোনি। গ্রামে প্রায় ১২৫টি পরিবার বাস করে। তবে সবাই এখন ভোলার আক্রমণে তটস্থ।

এই ভোলা অবশ্য দোর্দণ্ডপ্রতাপ কোনও নেতা বা দুর্বৃত্ত নয়। সে আসলে কালো রঙের অতি স্বাস্থ্যবান এক ষাঁড়। মাস ছয়েক আগে মালিকানাহীন এই ষাঁড়ের আবির্ভাব ঘটে ভাতারের রামচন্দ্রপুর কলোনি এলাকায়। ১২৫টি পরিবার এই এলাকায় বসবাস করেন। তাঁদের বক্তব্য, প্রথম প্রথম ভোলা এলাকার কাউকেই তার রুদ্রমূর্তি দেখায়নি। তাই তখন সে সবার কাছেই খাতির যত্ন পেত। এলাকা মানুষজনের কেউ আদর করে তাকে ’ভোলা’ আবার কেউ ’ভোলেবাবা’ নামে ঢাকা শুরু করেন। বিশ্বাস ও ভক্তিতে ভর করে অনেকে ফলমূল কিনে ভোলাকে খেতেও দিতেন।

আরও পড়ুন আবার রাঙাপানি! কাঞ্চনজঙ্ঘা দুর্ঘটনার মাস দেড়েক পরেই ফের বেলাইন মালগাড়ি

কিন্তু কয়েক মাস যাওয়ার পর থেকে ভোলা যেন বিগড়োতে শুরু করে। ধীরে ধীরে ভোলা নিজস্ব রূপ ধারণ করতে শুরু করে। আক্রমণাত্মক হতে শুরু করে "ভোলেবাবা" ওরফে ভোলা। কিন্তু কেন ভোলা দোর্দণ্ডপ্রতাপ হয়ে ওঠার পথ বেছে নিল, তা অবশ্য এলাকার কারোরই জানা নেই। মনোরঞ্জন বৈরাগী, মহেন্দ্র ঘোষ-সহ এলাকার একাধিক মানুষ ভোলার ভয়ানক সন্ত্রাসে জখম হন। এমনকি

ভোলার সন্ত্রাসে এলাকার গবাদি পশুও প্রাণ খুইয়েছে। দিন যত গড়াচ্ছে ভোলা যেন আরও আক্রমণাত্মক হয়ে উঠছে। আর তাতেই আতঙ্ক বাড়ছে এলাকাবাসীর। তাঁদের কথা অনুযায়ী, এখন ভোলা চাষের জমির ফসল, অন্য গাছপালা সবই নষ্ট করে দিচ্ছে। একাজে বাধা পেলেই ভোলা গুঁতিয়ে দিচ্ছে। এলাকার প্রবীণরা ভোলার ভয়ে পথে ঘাটে বেরনোর সাহস দেখাতে পারছেন না।

এলাকার বাসিন্দা স্বপন মিস্ত্রি, সুসেন বারুই, সুকান্ত বৈরাগীরা জানান, ভোলার সন্ত্রাস ও হামলা আক্রমণের বিষয়টি নিয়ে ব্লকের বিডিও, মহকুমা শাসক ,জেলাশাসকের দফতর এমনকি রাজ্যের প্রাণিম্পদ বিকাশ দফতরের মন্ত্রীকেও জানানো হয়েছে। কিন্তু ভোলার সন্ত্রাস থেকে এখনও মুক্তি মেলেনি। যদিও ভাতারের বিডিও দেবজিৎ দত্ত রবিবার জানিয়েছেন, “প্রশাসন বিষয়টি সম্পর্কে অবগত রয়েছে। খুব শীঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়া হবে“।

burdwan West Bengal
Advertisment