তাঁর ও পরিবারের অন্যান্যদের সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় ফের সরব মুখ্যমন্ত্রী। এ দিন সাংবাদিক বৈঠকেই মুখ্যসচিব ও ভূমি রাজস্ব সচিবকে বেনজির নির্দেশও দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, 'তদন্ত করুন, অভিযোগ প্রমাণিত হলে বুলডোজার দিয়ে অবৈধ নির্মাণ বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দেবেন।'
তৃণমূলের নেতা, মন্ত্রীদের সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে সরব বিরোধী দলগুলো। বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারও সন্দেহের ঊর্ধ্বে নয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের সদস্যদের সম্পত্তির হিসেব জানতে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। ওই মামলা প্রসঙ্গে গত সোমবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে সোচ্চার ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন ফের মুখ খোলেন।
আরও পড়ুন- ‘ডার্টি পলিটিকস’, ‘বীতশ্রদ্ধ’ মমতার রাজনীতি থেকে বিদায়ের ভাবনায় বড় ইঙ্গিত
নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'বলা হচ্ছে সরকারের জমি দখল করে বসে আছি। আমার বাসস্থান রানি রাসমণির সম্পত্তি। আমি সেখানেই ঠিকা প্রজা হিসাবে থাকি। নিজেদের জমি নেই। ভূমি রাজস্ব সচিব, মুখ্যসচিবকে বলেছি তদন্ত করতে। আমার পরিবারের সম্পত্তি নিয়ে তদন্ত করা হোক। জমি দখল হলে ভেঙে দিতে বলেছি। বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিন। কারও অনুমতি নিতে হবে না।'
আরও পড়ুন- সম্পত্তি নিয়ে মুখ্যসচিবকে বেনজির নির্দেশ মমতার, ‘বেনিয়ম থাকলেই বুলডোজ করুন’
নিজের অস্থাবর সম্পত্তি নিয়ে মমতা বলেছেন, 'মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে বেতন নিই না। সাতবারের সাংসদ হলেও পেনশন নিই না। বই, ছবি বিক্রির টাকায় চলি।'
তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে বহু উত্থান পতনের মধ্যে দিয়ে ক্ষমতার শীর্ষে পৌঁছেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ব্যক্তিগতস্তরে তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠেনি। কিন্তু, পার্থ, অনুব্রতর গ্রেফতারির পরপরই সুপ্রিমো ও তাঁর পরিবারকে নিশানা করছে বিরোধিরা। পাল্টা এবার নিজের সম্পত্তির খতিয়ান প্রকাশ্যে এনে বিরোধী শিবিরের উপর পাল্টা চাপ তৈরির চেষ্টায় তৃণমূল নেত্রী।