Advertisment

চিকিৎসা করে আর বাড়ি ফেরা হল না, ভয়াবহ দুর্ঘটনার নিহত প্রৌঢ় দম্পতি ও চালক

বেঙ্গালুরু থেকে চিকিৎসা করিয়ে ফিরছিলেন বর্ধমানের আনন্দপল্লীর ওই দম্পতি।

IE Bangla Web Desk এবং Rajit Das
New Update
burdwan gurap accident , চিকিৎসা করে আর বাড়ি ফেরা হল না, ভয়াবহ দুর্ঘটনার নিহত প্রৌঢ় দম্পতি ও চালক

দুর্ঘটনার পর গাড়িটির অবস্থা।

ব্যাঙ্গালুরুতে চিকিৎসা করিয়ে বাড়ি ফেরার পথে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল প্রৌঢ় দম্পতি ও তাঁদের গাড়ির চালকের। সোমবার গভীর রাতে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে হুগলী জেলার গুড়াপে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে। দুর্ঘটনায় একেবারে দুমরে মুচরে যাওয়া চারচাকা গাড়ির বাডি গ্যাস কাটার দিয়ে কেটে গুড়াপ থানার পুলিশ তিনটি মৃতদেহ উদ্ধার করে। মঙ্গলবার বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তিনটি মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হয়। পুলিশ দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

Advertisment

পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত দম্পতি বর্ধমান শহরের আনন্দপল্লী এলাকার বাসিন্দা। তাঁদের নাম রণজিৎ মণ্ডল (৬৪) ও বিজলী মণ্ডল (৫৯)। আর দুর্ঘটনায় মৃত্যু হওয়া একই এলাকা নিবাসী তাদের গাড়ির চালকের নাম বেচু ঘোষ (৩৪)। একই দিনে তিন জনের এমন মর্মান্তিক মৃত্যুর খবরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

মৃত রণজিৎ মণ্ডলের ভাই কাজল মণ্ডল এদিন বর্ধমান হাসপাতালে সাংবাদিকদের জানান, তাঁর দাদা বর্ধমান হাসপাতালে ফার্মাশিস্ট ছিলেন। ৩-৪ বছর আগে রিটায়ার করেছেন। দাদার মেয়ে ব্যাঙ্গালুরুতে থাকেন। চিকিৎসা করানোর জন্য আমার দাদা ও বৌদি কিছুদিন আগে ব্যাঙ্গালুরুতে যান। সেখানে মেয়ের বাড়িতে থেকেই তাঁরা চিকিৎসা করান। সোমবার বর্ধমানের বাড়িতে ফেরার জন্য দাদা ও বৌদি ব্যাঙ্গালুরু থেকে প্লেনে রওনা হন। রাতে দমদম বিমান বন্দরে নামেন। দাদা ও বৌদিকে দমদম বিমান বন্দর থেকে আনার জন্য এলাকার যুবক বেচু ঘোষের গাড়ি ভাড়া করা হয়েছিল।

কাজল বাবুর কথা অনুযায়ী, বেচুর চারচাকা গাড়িতে চেপে রণজিতবাবু ও তাঁর স্ত্রী বিজলীদেবী গভীর রাতেই জাতীয় সড়ক ধরে বর্ধমানে ফিরছিলেন। রাত আনুমানিক দুটো নাগাদ হুগলীর গুড়াপে ঘটে যায় ভয়াবহ দুর্ঘটনা। ঘটনাস্থলেই গাড়িতে থাকা তিনজন মারা যান। পুলিশ গ্যাস কাটার দিয়ে দুর্ঘটনাগ্রস্ত চারচাকা গাড়ির বডি কেটে তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

East Burdwan burdwan Road Accident
Advertisment