তখন কার্নিভালের ভরা রূপ। আড়ম্বরে শহরের পথ দিয়ে চলেছে একের পর এক দুর্গা প্রতিমা বোঝাই লরি। মঞ্চ আলো করে প্রধান অতিথি অভিনেতা চাঙ্কি পাণ্ডে থেকে জেলা রাজনীতির হেভিওয়েট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা। সেই সময়ই হঠাৎই যেন ছন্দ পতন। অনুষ্ঠান চলাকালীনই মঞ্চ ত্যাগ করলেন বর্ধমান পুরসভার চেয়ারম্যান পরেশ সরকার। ক্ষুব্ধ নন, বরং অভিমানী পরেশবাবু।
পুর চেয়ারম্যানের অভিমানের কারণ কী? পরেশ সরকার বলেন, 'কার্নিভাল খুব ভাল হচ্ছে আমার কারও বিরুদ্ধে ক্ষোভ বা রাগ নেই। আমার একটাই দুঃখ, গত দু’মাস ধরে পুরকর্মীরা কার্নিভালের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় এ দিন কার্নিভালের মঞ্চ থেকে এক বারের জন্যও তাঁদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হল না।'
চেয়ারম্যানকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হলেও তিনি আর মঞ্চে ওঠেননি। শেষ পর্যন্ত অবশ্য ক্ষোভ-ও চেপে রাখতে পারেননি বর্ষিয়ান পরেশ সরকার। বলেছেন, 'আমি পেশায় এক জন সামান্য শিক্ষক, আমার বয়স হয়েছে। তাই আর কারোর অন্যায়টা গিলতে পারি না।'
এ বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক প্রিয়ঙ্কা সিংলা।
দুর্গাপুজোর কার্নিভাল দেখতে সুদূর মুম্বই থেকে বর্ধমানে হাজির হয়েছিলেন মুখ্য অতিথি তথা বলিউড অভিনেতা চাঙ্কি পাণ্ডে। কার্জনগেট এলাকায় থাকা কার্নিভালের মূল মঞ্চে চাঙ্কি পাণ্ডেকে পাশে নিয়ে বসে তার কাছে বাংলার দুর্গা পুজোর জৌলুশ ও মাহাত্ম ব্যাক্ষা করেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। দুর্গাপুজো কার্নিভাল দেখে উচ্ছসিত অভিনেতা চাঙ্কি পাণ্ডে এদিন মঞ্চে বসেই কার্নিভালে অংশ নেওয়া সবাইকে শুভেচ্ছা জানান । এমনিকি তিনি মঞ্চে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে বলেন, 'জয় দুর্গা মাইকী। এমন সুন্দর কার্নিভাল দেখে আমি অভিভূত। আই লাভ বর্ধমান।'