দীপাবলির রাতে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল চার পুলিশকর্মীর। সোমবার ভোররাতে বর্ধমানের ২ নম্বর জাতীয় সড়কের পালসিটের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে। মৃত পুলিশকর্মীদের নাম বাদল সরকার,অনুপ কুমার বালা, প্রবীর কুমার হাটি ও বিশ্বজিৎ সামুই। দুর্ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তিন জনের। বর্ধমান মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালে ভর্তি করার পর সেখানে মৃত্যু হয় আরও এক পুলিশ কর্মীর।
আরও পড়ুন- অলোর উৎসবে কলকাতায় তুবড়ি ফেটে মৃত শিশু সহ দু’জন
ঠিক কী ঘটেছিল?
জানা গিয়েছে, মেমারি থানা থেকে বর্ধমানে ফিরছিলেন পুলিশকর্মীরা। সোমবার ভোররাতে দুর্ঘটনাটি ঘটে বর্ধমানের ২ নম্বর জাতীয় সড়কের পালসিটের কাছে একটি বালি বোঝাই লরি ধাক্কা মারে পুলিশের গাড়িটিকে। ওই চার জন পুলিশকর্মী মেমারি থানা থেকে বর্ধমান ফিরছিলেন। সেই সময়েই দুর্ঘটনার সম্মুখীন হন তাঁরা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তিন পুলিশকর্মীর। উপস্থিত আরও এক জনকে দুর্ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। ঘাতক লড়িটিকে আটক করেছে পুলিশ।
দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ি
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত চার পুলিশ কর্মীর মধ্যে বাদল সরকার পূর্ব বর্ধমানের বিধানপল্লী এলাকার বাসিন্দা, অনুপ কুমার বালা উত্তর চব্বিশ পরগনার শান্তিনগরের বাসিন্দা। হুগলির শ্যামবাটির বাসিন্দা বিশ্বজিত সামুই। প্রবীর কুমার হাটি হুগলির উত্তর রসুলপুর এলাকার বাসিন্দা। আকস্মিক এই ঘটনায় শোকের ছায়া বর্ধমান জেলা পুলিশ মহলে।
আরও পড়ুন-অতিথি আপ্যায়ন থেকে ভোগ রান্না, বাড়ির পুজোয় সবই করলেন মুখ্যমন্ত্রী, দেখুন ভিডিও
জাতীয় সড়কে বালি বোঝাই লরির বেপরোয়া গাড়ি চালনায় দুর্ঘটনা নতুন নয়। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ অভিযানের পরেও কীভাবে তোয়াক্কাহীন গাড়ি চালাচ্ছে চালকেরা তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। বছরের শুরুতেই দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকাগুলিকে চিহ্নিত করে দুর্ঘটনার কারণ নির্ণয়ের মাধ্যমে তা রোধ করার জন্য সঠিক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান হয় ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে। এমনকি দিনে-রাতে ঘটা দুর্ঘটনা এড়াতে পুলিশকে আরও সতর্কতা অবলম্বন করার নির্দেশও দেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু বর্ধমানে চার পুলিশ কর্মীর এমন পথ দুর্ঘটনার ঘটনায় ফের প্রশ্নের মুখে পথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা।