উপাচার্য, রেজিস্ট্রার বেনজির সংঘাত পৌঁছালো থানায়, চূড়ান্ত অচলাবস্থা বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে!

বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে ’রেজিস্ট্রার’ পদ নিয়ে দ্বন্দ্ব থামার কোনও লক্ষণ নেই। দ্বন্দ্ব সোমবার এক নতুন রুপ নিল। এদিন রেজিস্ট্রার সুজিত কুমার চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে দেখেন তাঁর ঘরের দরজায় তালা ঝুলছে।

বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে ’রেজিস্ট্রার’ পদ নিয়ে দ্বন্দ্ব থামার কোনও লক্ষণ নেই। দ্বন্দ্ব সোমবার এক নতুন রুপ নিল। এদিন রেজিস্ট্রার সুজিত কুমার চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে দেখেন তাঁর ঘরের দরজায় তালা ঝুলছে।

author-image
Pradip Kumar Chattopadhyay
New Update
images (6)

বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়

রেজিস্ট্রার এখন কে? এই প্রশ্নে তৈরি হওয়া বিতর্কের মধ্যেই বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে চরমে উঠলো উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারের সংঘাত। দু’পক্ষই দ্বারস্থ বর্ধমান থানার। উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দুই উচ্চ পদের আধিকারিকের এমন বেনজির সংঘাত বড়ই লজ্জায় ফেলেছে পড়ুয়াদের। 

Advertisment

বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে ’রেজিস্ট্রার’ পদ নিয়ে দ্বন্দ্ব থামার কোনও লক্ষণ নেই। দ্বন্দ্ব সোমবার এক নতুন রুপ নিল। এদিন রেজিস্ট্রার সুজিত কুমার চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে দেখেন তাঁর ঘরের দরজায় তালা ঝুলছে। ঘরে প্রবেশ করতে না পেরে তিনি সোজা বর্ধমান থানায় চলে যান। সেখানে তিনি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।এর আগে উপাচার্য শঙ্করকুমার নাথ বর্ধমান থানায় অভিযোগ করেছিলেন।  

তাঁর অভিযোগ ছিল ,“রেজিস্ট্রারের চেয়ার জোর করে দখল করে রেখেছেন সুজিত চৌধুরী। তা নিয়ে উচ্চশিক্ষা দপ্তরের তরফে তাঁর কাছে কোনও লিখিত নির্দেশ আসেনি। বিষয়টি নিয়ে তিনি উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও উত্তর পাইনি। তাই ’রেজিস্ট্রারের’ সমস্ত দায়িত্ব নিজেই সামলাচ্ছেন বলে উপাচার্য দাবি করেন“। 

Advertisment

যদিও সুজিত কুমার চৌধুরী এদিন দাবি করেন,গত ২ সেপ্টেম্বর উচ্চশিক্ষা দপ্তর তাঁকে পুনর্বহাল করেছে। সেই নির্দেশ মেনে তিনি ৯ সেপ্টেম্বর ফের কাজে যোগ দেন। কিন্তু সোমবার অফিসে গিয়ে তাঁকে তালাবন্ধ ঘরের মুখোমুখি হতে হয়। সুজিত বাবু আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, 'সরকারি নির্দেশে আমি পুনর্বহাল হয়েছিলাম। অথচ আজ অফিসে এসে দেখি রেজিস্ট্রারের ঘরে তালা। তাই আমি থানায় অভিযোগ জানালাম । 

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর,“অস্থায়ী রেজিস্ট্রার পদত্যাগ করার পর থেকেই প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্ব উপাচার্যের হাতেই ছিল। সেই জায়গাতেই প্রশ্ন উঠেছে সুজিতবাবুর পুনর্বহাল নিয়ে।' 

এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের এক ছাত্র রেজিস্ট্রারের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে ইতিমধ্যেই হাইকোর্টে মামলা করেছেন। ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। কার্যত এখন অচলাবস্থার মুখে দাঁড়িয়ে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাজকর্ম। এমন পরিস্থিতিতে সবার নজর এখন পড়েছে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দপ্তরের উপর। তারা বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার পদ সংক্রান্ত জটিলতার সমাধানে কি ব্যবস্থা নেয়,সে দিকেই সব মহল এখন তাকিয়ে আছে।

burdwan