আরও বিপাকে বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। এবার অনুব্রত মণ্ডলের নামে বিস্ফোরক অভিযোগ প্রকাশ্যে এনেছেন সিউড়ির গাড়ি ব্যবসায়ী। ঠিকাদারির বরাত পেতেই অনুব্রত মণ্ডলকে কোটি-কোটি টাকার গাড়ি দিয়েছিলেন ওই ব্যবসায়ী, এমনই দাবি তাঁর। কিন্তু তারপরেও কাজের বরাত তিনি পাননি বলে দাবি করেছেন। এমনকী কাজের টেন্ডার না পেয়ে টাকা ফেরত চাইলে তাঁকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোরও হুমকি দিয়েছিলেন কেষ্ট, এমনই অভিযোগ তাঁর।
উল্লেখ্য, শুক্রবার সকালে আচমকা সিবিআইয়ের চার সদস্যের একটি দল পৌঁছে যায় বোলপুরে। ভোলে ব্যোম রাইসমিলে তল্লাশিতে যান তাঁরা। রাইস মিলটিতে অনুব্রত মণ্ডলের কন্যা ও তাঁর স্ত্রীর অংশীদারিত্ব রয়েছে বলে দাবি সিবিআই সূত্রের। রাইস মিলের ভিতরে সারি দিয়ে একাধিক গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
দামী ওই গাড়িগুলির মালিকের খোঁজ করতে গিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। সিউড়ির এক গাড়ি ব্যবসায়ীর দাবি, কাজের টেন্ডার পেতেই অনুব্রত মণ্ডলকে গাড়ি দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তারপরেও সেই কাজের বরাত তিনি পাননি বলে দাবি তাঁর। এমনকী পরে টাকা ফেরত চাইলেও তাঁকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ এনে তোলপাড় ফেলে দিয়েছেন ওই ব্যবসায়ী।
আরও পড়ুন- বোলপুরে কেষ্ট-কন্যার রাইস মিলে CBI, রহস্যে ঘেরা এলাকায় জোরদার তল্লাশি
এদিন তিনি বলেন, ''ঠিকাদারির বরাত পেতেই অনুব্রতকে গাড়ি দিই। অনুব্রত মণ্ডল নিজে নিয়েছিলেন দেড় কোটি টাকা। বাকি টাকা সায়গলকে দিই। গাড়ি দিয়েও কাজের বরাত পাইনি। ৫ কোটি ৬৩ লক্ষ টাকা দিয়েছিলাম। ট্র্যাপে পড়ে গিয়েছিলাম। টাকা চাইলে গাঁজা কেসে ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি মেলে।''
অন্যদিকে, সিউড়ির আর এক গাড়িমালিকও বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে। তাঁর দাবি, তিনিও গাড়ি দিয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডলকে। প্রবীর মণ্ডল নামে সিউড়ির ওই গাড়ি ব্যবসায়ী বলেন, ''আমাদের শেষ করে দিয়েছে। আমি আগে ভয়ে অভিযোগ করতে পারিনি। ৪৬ লক্ষ টাকার গাড়ি দিয়েছিলাম। তিলপাড়ার সংস্কারের কাজের বিনিময়ে দিয়েছি। ৫ কোটি দিয়িছে, গাড়ি দিয়েছি। টাকা ফেরত চাইলে বলে জেলে থাকবি না গাড়ি চাপবি।''