সাগরদিঘির উপনির্বাচনে জয়ী হয়েছেন বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী বায়রন বিশ্বাস। শনিবার বিধানসভায়এসেছিলেন তিনি। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন। কিন্তু জেতায় পর বেশ কয়েকদিন হলেও এখনও বিধায়ক হিসেবে তাঁর শপথগ্রহণ হয়নি তাঁর। কেন? বায়রন বিশ্বাস সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, 'এখনও বিধানসভায় রাজ্যপালের তরফে শপথের কোনও বার্তা আসেনি।'
এরপরই এদিন বিকেলে বায়রন বিশ্বাসকে সঙ্গে নিয়ে রাজভবনে পৌঁছে গিয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। ছিলেন প্রাক্তন দুই বিধায়ক অসিত মিত্র, নেপাল মাহাত ও কৌস্তভ বাগচি। সেখান থেকে বেরিয়ে অধীর বলেন, 'বায়রন জিতেছে ২ তারিখ। আজ ১১ তারিখ। এখনও বিধানসভার বাইরে। স্পিকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তিনি বলছেন, রাজভবন থেকে নোটিশ আসছে না। রাজভবন থেকে যাতে বিজ্ঞপ্তি তাড়াতাড়ি যায়, সেই আবেদন রাখতেই রাজভবনে আসা।'
আরও পড়ুন- এসএসসি দুর্নীতি: জামিনের আবেদন খারিজ, কতদিন ইডি হেফাজতে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়?
এর পাশাপাশি প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র কৌস্তভ বাগচি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলেন, 'আমরা রাজ্যপালকে অনুরোধ করেছি যাতে বিধানসভা নির্বাচনের মত পঞ্চায়েত নির্বাচনও কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই করা হয়। পঞ্চায়েত নির্বাচন নিরপেক্ষভাবে করাতে হলে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা প্রয়োজন।' নিয়ম অনুযায়ী, বিধায়কদের শপথগ্রহণের বিষয়টি পরিষদীয় দফতর থেকে রাজভবনে পাঠানো হয়ে থাকে। তারপর রাজভবন থেকে সেই মতো নোটিফিকেশন জারি হয়।
বায়রনের ক্ষেত্রে কী হয়েছে? রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, তাঁর দফতর থেকে রাজ্যপালের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। রাজ্যপালের অনুমোদন এসে গেলেই শপথগ্রহণ হবে। রাজ্যপাল নোটিশ এক ঘণ্টার মধ্য়েও দিতে পারেন আবার এক মাস পরেও দিতে পারেন। পুরোটাই রাজ্যপালের উপর নির্ভর করছে।