বঙ্গ রাজনীতিতে 'সাগরদিঘি মডেল'-এর পাল্টা এবার 'বায়রন মডেল'কে তুলে ধরছে রাজ্যের শাসক শিবির। পঞ্চায়েত ভোটের আগেই যা দলবদল নিয়ে তৃণমূলের বিশাল ইঙ্গিত বলেই মনে করা হচ্ছে।
গত মার্চে বাম সমর্থিত কংগ্রেসে প্রার্থী বায়রন বিশ্বাস সাগরগিধি উপনির্বাচনে জয় লাভ করেন। সেই সময় তাঁকে ঘিরে উন্মাদনা তৈরি হয় বিরোধী শিবিরে। তৃণণূলের পক্ষে সংখ্যালঘু ভোট ব্যাংকের আস্থা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। বাং-কংগ্রেস নেতৃত্ব মমতা বিরোধী লড়াইয়ে বিরাট অক্সিজেন পান। বিধানসভার অন্দরেও খাতা খোলে হাত শিবিরের। কিন্তু, মাস তিনেক না গড়াতেই ডিগবাজি মারেন বায়রন। হাত ছেড়ে যোগ দেন তৃণমূলে। প্রশ্নের মুখে পড়ে 'সাগরদিঘি মডেল'।
সেই প্রশ্নই পঞ্চায়েত ভোটের আগে আরও বড় করে উস্কে দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। পাল্টা 'বায়রন মডেল'য়ের অবতারণা করে দলবদল নিয়ে বড় চাঁচাছোলা ইঙ্গিত দিয়েছেন কুণাল।
কী বলেছেন কুণাল ঘোষ?
পঞ্চায়েতে বিরোধী প্রার্থীদের কেন ভোট দেওয়া হবে? প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল মুখপাত্র। শনিবার কুণাল ঘোষ বলেছেন, 'ভোটে দু-চার জন বিরোধী দলের প্রার্থীরা জিতবেন। কিন্তু এদের মানুষ ভোট দেবেন কেন? বিরোধী যেসব প্রার্থী জিতবেন তাঁদেরও বায়রনের অনুভূতি সংক্রমিত হবে। অন্য চিহ্ন নিয়ে জিতলেও পরে সেই তৃণমূলে চলে আসবেন। কারণ ওঁরা নেগেটিভ, দলের মদতে মানুষের কাজ করতে পারবেন না। জিতলে বুঝবেন কেন্দ্র বাংলাকে কীভাবে বঞ্চিত করছে, অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতার নেতৃত্বে রাজ্যে কত ভালো ভালো সামাজিক প্রকল্প চলছে। তাই ওদের ভোট দিয়ে লাভ নেই।'
আরও পড়ুন- ‘কালীঘাটের কাকু’র মুখে ফের অভিষেক! ‘সাহেব’কে নিয়ে করলেন বিরাট ভবিষ্যদ্বাণী
তৃণমূলের এক যুগের শাসনে গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে বিধানসভা পর্যন্ত বহু দলবদল দেখা গিয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অন্য দল থেকে নির্বাচিত দলবদলু জনপ্রতিনিধিরা পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেননি। ফলে গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে নানা প্রশ্ন সামনে এসেছে। সেই প্রেক্ষাপটে এদিন কুণাল ঘোষের মন্তব্য বেশ তাৎপর্যবাহী।