সিএএ এবং এনআরসি বিরোধী তৃণমূলের মিছিলে গোল বাঁধল উত্তর দিনাজপুরে। এই মিছিলকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে ঝামেলায় জড়াল তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা।
এনআরসি এবং সিএএ-র বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেসের মিছিলকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার কাণ্ডের সাক্ষী থাকল উত্তর দিনাজপুরের চাকুলিয়া থানার কানকি এলাকা। অভিযোগ, মিছিলকে কেন্দ্র করে এদিন বেশ কয়েকটি গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। পুলিশকে লক্ষ্য় করে ইট-পাটকেলও ছোড়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কানকি ফাঁড়ির পুলিশ লাঠিচার্জ করে, কাদানে গ্যাসের সেল ফাটায় বলে খবর। এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এই ঘটনায়।
পুলিশ লাঠি চার্জ করলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন মিছিলে আসা তৃণমূল সমর্থকরা। অভিযোগ, মিছিল থেকে পুলিশকে লক্ষ্য় করে ইট, পাথর ছোড়া হয়। এরপরই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক লাগোয়া কানকি এলাকা। অভিযোগ, একটি সরকারি বাসে আগুন লাগিয়েও দেওয়া হয়। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল এই ঘটনার কথা অস্বীকার করেছেন।
তৃণমূল নেতা কানাইয়ালাল আগরওয়ালের দাবি, "শান্তিপূর্ণ ভাবে সিএএ এবং এনআরসির বিরুদ্ধে মিছিল হচ্ছিল। এই মিছিলে নানা জায়গা থেকে হাজার হাজার লোক আসেন। কোথা থেকে কে ঢুকে অশান্তির চেষ্টা করছে... তবে আমরা তাদের চিহ্নিত করে পুলিশের হাতে তুলে দেব।"
এদিকে বিজেপি জেলা সভাপতি বিশ্বজিত লাহিড়ি বলেন, "তৃণমূল কংগ্রেসের মন্ত্রী গোলাম রব্বানীর উপস্থিতিতে এই ঘটনা ঘটেছে। অবিলম্বে তাঁকে মন্ত্রীত্ব থেকে ইস্তফা দিতে হবে। কারণ, শান্তি মিছিলের নাম করে অশান্তির বাতাবরণ সৃষ্টি করেছেন তাঁরা।" এলাকায় এখনও উত্তেজনা রয়েছে।