বুধবার রাজ্যে সভা করতে এসে মিনিট পঁচিশ বক্তৃতা করেছিলেন অমিত শাহ। শাহী সভায় ঝাঁঝ তেমন ছিল না বলেই মত রাজনৈতিক বিশ্লেকদের। তবে লোকসভা ভোটের কয়েকমাস আগে বঙ্গে সভা করতে এসে ফের একবার ধর্মীয় মেরুকরণের রাজনীতি উসকে দেওযার চেষ্টা করে গিয়েছেন বিজেপির শীর্ষ সেনাপতি। গতকাল অমিত শাহের মুখে 'দ্য গ্রেট ক্যালকাটা কিলিংস', গোপাল মুখোপাধ্যায়ের নাম শোনা গিয়েছিল। শাহের সেই মন্তব্যের রেশ টেনেই আজ প্রায় একই সুরে মন্তব্য দিলীপ ঘোষেরও।
কী বললেন দিলীপ ঘোষ?
"বাঙালি জাত্যাভিমান কি তুলে ধরবেন!! শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী কে ছিলেন? বাঙালি ছিলেন। বাঙালির হাতেই ভারতীয় জনতা পার্টির প্রতিষ্ঠা হয়েছে, জনসঙ্ঘের। এটা ঠিক যে মানুষকে মনে করাতে হয়। বাঙালি খুব ভুলে যায়। দেশ ভাগ হয়েছে, বাঙালি নির্যাতিত হয়েছে। মা বোনেদের সম্মান গেছে। কোটি কোটি লোক উদ্বাস্তু হয়েছে। আজকের যুব সমাজ যদি এগুলো ভুলে যায় তাহলে আবার উদ্বাস্তু হতে হবে। তাই উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য সিএএ তৈরি করা হয়েছে। সেটাই উনি মনে করিয়ে দিয়েছেন। আমরাই সিএএ ইম্প্লিমেন্ট করব। সবই সময়ে হয়।"
বছর ঘুরলেই লোকসভা ভোট। এবারের নির্বাচনে বাংলা থেকে কমপক্ষে ৩৫টি আসনে জয় ছিনিয়ে নিতে লক্ষ্য স্থির রেখেছে বিজেপি। তবে এই মুহূর্তে গোটা রাজ্যে গেরুয়া দলের যা সাংগঠনিক পরিস্থিতি তাতে এমন প্রত্যাশা ঘিরেও ঘুরপাক খাচ্ছে নানা প্রশ্ন। মোদী-শাহদের বেঁধে দেওয়া এই টার্গেটের ধারে-কাছেও পৌঁছোতে পারবে বিজেপি? প্রশ্ন রয়েছে। এরাজ্যে শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে এই মুহূর্তে পথে নেমে প্রতিবাদ করার মতো হাতে-গরম একগুচ্ছ ইস্যু রয়েছে বিজেপির সামনে।
আরও পড়ুন- বিরাট তথ্য পেয়েছে CBI? পার্থ ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলর-সহ ও এক বিধায়কের বাড়িতে হানা
তবে তার চেয়েও নির্বাচনী বৈতরণী পেরোতে বিজেপির প্রধান ও অন্যতম হাতিয়ার হল ধর্মীয় মেরকরণের রাজনীতি। ভোটের মাত্র কয়েকমাস আগে তাই কি দুর্নীতি ইস্যুতে চাঁচাছোলা মন্তব্যে না গিয়ে ফের একবার মেরুকরণের রাজনীতিতে ঝোঁক গেরুয়া দলের? প্রশ্ন তুলছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।