পশ্চিমবঙ্গে শীঘ্রই কার্যকর হবে নাগরিকত্ব আইন। সিএএ নিয়ে বড় দাবি জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। সম্প্রতি, প্রকাশ্য সভায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী নাগরিকত্ব আইন বাংলায় কার্যকর করার বিষয়ে ঘোষণা করেছিলেন। এবার তাঁর সুরেই সিএএ কার্যকরের কথা বললেন নিশীথ। কিন্তু আইন কার্যকরের দিনক্ষণ কিছু জানাননি তিনি।
রবিবার মাথাভাঙায় একটি জনসভায় নিশীথ বলেন, "হিন্দুরা বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে বিতাড়িত হয়েছেন। তাঁদের নাগরিকত্ব দিতেই সিএএ কার্যকর করা হবে। এই আইন কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেবে না। গোটা দেশেই এই আইন শীঘ্রই কার্যকর হবে। পশ্চিমবঙ্গেও হবে।"
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই ঘোষণার আগে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সম্প্রতি একই কথা বলেছেন। বলেন, বাংলায় নাগরিকত্ব আইন বাস্তবায়িত হবে। তবে পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্যে সিএএ কার্যকরের কথা বলে ইস্যু তৈরি করছে বিজেপি, এমনটাই মত রাজনৈতিক মহলের।
আরও পড়ুন ‘মমতা শূর্পনখা হলে, মোদী-শাহ দুর্যোধন’, তৃণমূল বিধায়কের মন্তব্যে ফুঁসছেন শুভেন্দু
শনিবার শুভেন্দু মতুয়া-গড় ঠাকুরনগরে সিএএ নিয়ে একটি সভায় বলেন, "নাগরিকত্ব আইন নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। আমরা গর্বিত যে গুজরাটে এটি কার্যকর হয়েছে। বাংলাতেও এটা কার্যকর হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এটা শুনে রাখা উচিত, এটা শীঘ্রই কার্যকর হবে। আমি তাঁকে চ্যালেঞ্জ করছি, তাঁর দম থাকলে আটকে দেখান।"
প্রসঙ্গত, রাজ্যের শাসকদল বরাবরই সিএএ -র বিরোধিতা করেছে। এই ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পথে নেমে মিছিল-সভাও করেছেন। সাফ জানিয়েছেন, তাঁর সরকার রাজ্যে এই আইন কার্যকর করতে দেবে না। তাঁর দাবি, ১৯৭১ সালের আগে যে শরণার্থীরা দেশে এসেছেন তাঁরা ইতিমধ্যেই নাগরিক।
নিশীথের মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেছেন, "যখনই কোথাও নির্বাচন হয় বিজেপি সিএএ ইস্যু ভাসিয়ে তোলে। যদি তাঁরা মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চান তাহলে সিএএ ইস্যু ভাসিয়ে রাখুক। এটা ওদের চাল। সিএএ হোক বা এনআরসি, যাঁদের নাম ভোটার তালিকায় রয়েছে তাঁরা দেশের নাগরিক। এই আইন মানুষকে বিভ্রান্ত করতে সামনে আনা হয়েছে। মানুষের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করার জন্য। এটা বাংলায় চলবে না।"