মঙ্গলবার চার কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ফলাফলে রেকর্ডের ছড়াছড়ি তৃণমূলের। দুটি কেন্দ্রে লক্ষাধিক ভোটে জিতেছেন তৃণমূল প্রার্থীরা। বাকি দুটিতেও বিরাট ব্য়বধানে জয় পেয়েছেন ঘাসফুল শিবিরের নেতারা। এমন একপেশে ফলাফলের পর সূত্রের খবর, শীঘ্রই মন্ত্রিসভায় রদবদল করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মূল লক্ষ্য হল নয়া অর্থমন্ত্রী নির্বাচন করা। যেহেতু শারীরিক কারণে অমিত মিত্র এবারের নির্বাচনে লড়েননি।
যদিও ভোটে জেতার পর অমিত মিত্রকে অর্থমন্ত্রী হিসাবে কাজ করতে বলেন মমতা। কিন্তু ৬ মাসের মেয়াদ শেষ হওয়ার মুখে অমিত মিত্রর। তিনি বিধায়কও নন। সুতরাং ৫ নভেম্বরের পর মন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিতে হবে তাঁকে।
সেই কারণে সূত্রের খবর, অমিত মিত্রকে অর্থ দফতরেই রেখে দিতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে উপদেষ্টা হিসাবে কাজ করবেন তিনি। মন্ত্রী সমতূল্য পদেই মেয়াদ শেষেও থেকে যাবেন অমিত মিত্র। প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে পালাবদলের পর থেকে অমিত মিত্র রাজ্যের অর্থ দফতরের ভার সামলাচ্ছেন। তিনি ছাড়া কারও উপরেই ভরসা করতে পারেননি মমতা। সে যতই রাজ্যের দেনা বাড়ুক না কেন, সামাজিক সুরক্ষা সংক্রান্ত সমস্ত প্রকল্প চালিয়ে গিয়েছে সরকার।
আরও পড়ুন ৬ মাসেই পাশা বদল, আগামিতে কী প্রভাব পড়বে বঙ্গ রাজনীতিতে?
অমিত মিত্রর উপর আস্থা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে মমতার। অর্থনীতির ভারসাম্য রেখে রাজ্যের আর্থিক সঙ্কট এক হাতে রেখে, ঋণশোধ অন্য হাতে করে গিয়েছে সরকার। মমতা নিজেই বার বার বলেন, রাজ্যের কাছে টাকা নেই। তবুও সমস্ত সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প রাজ্যের কোষাগারের টাকায় চালু রেখেছে সরকার। এর মধ্যেই প্রকল্পের সংখ্যা বেড়েছে সে যতই ভাঁড়ারে টান পড়ুক।
এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে মেয়াদ শেষ হলেও রাজ্য সরকারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় থাকবেন অমিত মিত্র। সূত্রের খবর, পূর্ণ মন্ত্রীর সমতূল্য পদেই বহাল থাকবেন তিনি। তবে আলঙ্কারিক পদের নাম হবে অর্থ দফতরের মুখ্য উপদেষ্টা। তাতে মন্ত্রী না হয়েও দফতরের মাথায় থাকবেন তিনি। তবে মন্ত্রী পদে কাকে বসান মমতা এখন সেটাই দেখার।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন