চলতি বছর প্রাথমিকে নিয়োগের যোগ্যতা নির্ণায়ক পরীক্ষার (টেট) দিন বদলের আবেদনে সাড়া দিল না হাইকোর্টে। অর্থাৎ, ২৪ ডিসেম্বর নির্ধারিত দিনেই হবে টেট পরীক্ষা। মঙ্গলবার এই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। ওইদিনই রয়েছে হাজারকণ্ঠে গীতাপাঠের অনুষ্ঠান। সেখানে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। সেই বিবেচনা করে এ গিন পরীক্ষার্থীদের সুবিধায় কলকাতা পুলিশকে বেশ কয়েকটি নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ। নির্দেশে উল্লেখ রয়েছে যে, কলকাতা পুলিশকে শহরের যানজট সমস্যা দূর করতে হবে। পরীক্ষার্থীদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সেটা অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে দেখতে হবে। পরিবহণ দফতরকে পর্যাপ্ত সংখ্যক বাস চালাতে হবে। পরীক্ষার্থী অ্যাডমিট কার্ড দেখালে তাঁদের পরীক্ষাকেন্দ্রে দ্রত পৌঁথে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে পুলিশকে।
২৪ ডিসেম্বর ব্রিগেডে গীতাপাঠ কর্মসূচি রয়েছে। পরে ১০ তারিখ বদলে রাজ্য সরকার ওইদিনই টেট পরীক্ষার ঘোষমা করে। যা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। এরপর ২৪ ডিসেম্বর টেট পরীক্ষার দিন বদল চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করেন মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। যার ভিত্তিতে মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, মামলার আগে টেট পরীক্ষার দিন বদল করা হবে না।
আরও পড়ুন- কল্যাণ ভেঙাচ্ছেন ধনখড়কে, ভিডিয়ো করছেন রাহুল! চরম বিতর্কে মুখ খুললেন উপরাষ্ট্রপতি
হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ পরীক্ষার দিন নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এখানে আদালত কোনও হস্তক্ষেপ করবে না। পরীক্ষা যাতে সুষ্ঠুভাবে হয় তার জন্য কলকাতা পুলিশ এবং পরিবহণ দফতরকে উপযুক্ত পদক্ষেপ করতে হবে।
উচ্চ আদালতের নির্দেশের পর শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেছেন, 'আশা করছি কলকাতা পুলিশ ২৪ ডিসেম্বর উপযুক্ত পদক্ষেপ করবে। টেট পরীক্ষা নির্বিঘ্নেই হবে।'
আগামী ২৪ ডিসেম্বর গীতা জয়ন্তী উপলক্ষে কলকাতার ব্রিগেড ময়দানে লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠের ডাক দিয়েছে কয়েকটি সংস্থা। গীতাপাঠে যোগ দিতে বাংলায় আসার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। প্রধানমন্ত্রী এলে যানজটের জন্য সমস্যায় পড়তে পারেন টেট পরীক্ষার্থীরা। এই আশঙ্কা থেকে টেট পরীক্ষা বাতিলের আর্জি জানিয়ে শুরুতে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছিল। পরে প্রধানবিচারপতি জানিয়েছিলেন মামলা না হলে আদালত কিছু বলবে না। এরপর একই আবেদন নিয়ে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। মঙ্গলবার শুনানিতে রাজ্যের তরফে জানানো হয়, পরীক্ষার্থীদের অ্যাডমিট কার্ড ইতিমধ্যেই বিলি করা হয়ে গিয়েছে। পরীক্ষাগ্রহণের সব ধরনের প্রস্তুতিও সাড়া। শেষ মুহূর্তে পরীক্ষা বাতিল করা হলে তাতে আরও বেশি সমস্যায় পড়বেন পরীক্ষার্থীরা। এরপরই বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির আবেদনই খারিজ করে দিয়েছে উচ্চ আদালত।
আরও পড়ুন- সপ্তাহান্তে বাংলার আবহাওয়ায় বড় বদলের ইঙ্গিত! শীত বাড়বে, নাকি কমবে?