Advertisment

ঝালদার চেয়ারপার্সন নিয়ে দড়ি টানাটানি! বিরাট নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের নয়া নির্দেশ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Suvendu Adhikaris lawyer approached HC afer receiving summons from Lalbazar

Suvendu Adhikari: কলকাতা হাইকোর্ট।

পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভায় আগামী ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে আস্থা ভোট করানোর নির্দেশ বিচারপতি অমৃতা সিনহার। ঝালদা পুরসভার চেয়ারপার্সনের অপসারণ নিয়ে আস্থা ভোট করিয়ে তার রিপোর্ট আগামী ১২ ডিসেম্বর কলকাতা হাইকোর্টে জমার নির্দেশ বিচারপতির। ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে জেলাশাসকের উপস্থিতিতে আস্থা ভোট করানোর নির্দেশ উচ্চ আদালতের।

Advertisment

উল্লেখ্য, ঝালদা পুরসভার চেয়রাপার্সন শীলা চট্টোপাধ্যায়ের অপসারণ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। ৫ তৃণমূল কাউন্সিলরের পাশাপাশি ২ কংগ্রেস কাউন্সিলর আলাদা করে মামলা করেছিলেন। ঝালদা পুরসভা নিয়ে দীর্ঘ আইনি লড়াই চলে। শেষমেশ তৃণমূলের হাত থেকে ঝালদা ছিনিয়ে নেয় কংগ্রেস। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ঝালদার পুরপ্রধানের দায়িত্ব পান শীলা চট্টেপাধ্যায়। পুরসভার উপপুরপ্রধান হয়েছিলেন নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু।

পরবর্তী সময়ে কংগ্রেসের ৫ কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগ দেন। তারপরেই ঝালদার উপপুরপ্রধানের পদ থেকে পূর্মিণা কান্দু ইস্তফা দেন। যদিও চেয়ারপার্সন পদে থেকে গিয়েছেন শীলা চট্টোপাধ্যায়। গত পুর নির্বাচন মেটার পর থেকে ঝালদা নিয়ে জটিলতা চলছেই। পুরপ্রধানের দায়িত্ব কে সামলাবেন তা নিয়ে আইনি লড়াই জারি রয়েছে। ঝালদায় নির্দলরাই বারবার রাজনৈতিক অবস্থান পাল্টে লড়াই জমিয়ে দিয়েছেন।

তবে এই পুরসভায় চেয়ারপার্সনের অপসারণের দাবি জোরালো হয়। শীলা চট্টোপাধ্যায়কে পুরপ্রধান থেকে সরানোর দাবিতে হাইকোর্টে জোড়া মামলা দায়ের হয়েছিল। সেই মামলাতেই বৃহস্পতিবার আদালত স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে ঝালদা পুরসভায় আগামী ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে জেলাশাসকের উপস্থিতিতে আস্থাভোট করাতে হবে।

আরও পড়ুন- শাহের মুখে ‘দ্য গ্রেট ক্যালকাটা কিলিংস’, ‘ভুললে ফের উদ্বাস্তু হতে হবে’, মন্তব্য দিলীপের

কংগ্রেসের তরফে এদিন হাইকোর্টে সওয়াল করেন আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী। তিনি এদিন বলেন, "১২ আসনের ঝালদা পুরসভায় চেয়ারপার্সন হয়ে কাজ চালাচ্ছিলেন শীলা চট্টোপাধ্যায়। আগে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন পুরবোর্ড ও নির্দলের সমর্থনে তিনি চেয়ারপার্সন ছিলেন। পরবর্তী সময়ে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। বর্তমানে ওঁর সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই। এই বিষয়গুলি নিয়ে আমরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলাম। আস্থা ভোটের দাবি জানিয়েছিলাম। আদালত সব কথা শুনে সব দিক দেখে জানিয়েছে ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে জেলাশাসককে আস্থা ভোট করাতে হবে। ১২ ডিসেম্বর মামলাটি ফের উঠবে। ওই দিন জেলাশাসককে রিপোর্ট জমা দিতে হবে।"

West Bengal CONGRESS Jhalda highcourt purulia tmc
Advertisment