উলুবেড়িয়ার সিপিএম প্রার্থী কাশ্মীরা বেগম খানের ব্যালট পেপার ষড়যন্ত্র করে বিকৃত করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন। সেই নিয়ে হাইকোর্টে মামলা হয়। ডিভিশন বেঞ্চ, এই মামলার তদন্ত করতে একটি কমিটি গঠন করে দেয়। সেই কমিটির প্রধান ছিলেন বিচারপতি দেবীপ্রসাদ দে। ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, কমিটি তার রিপোর্ট সিঙ্গল বেঞ্চে জমা দেবে। সেই মতো বৃহস্পতিবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে রিপোর্ট জমা পড়ে। সেখানে বলা হয়, ব্যালট বিকৃতির যে অভিযোগ উঠেছে তার মধ্যে সত্যতা রয়েছে। এই কাজে বিডিও, এসডিও একসঙ্গে ষড়যন্ত্র করেছেন। একইসঙ্গে এই চক্রে যুক্ত রয়েছেন অনগ্রসর শ্রেণির দফতরের এক অফিসারও।
বিচারপতি দে কমিটির সুপারিশ ছিল, অভিযুক্ত তিনজনের বিরুদ্ধেই বিভাগীয় তদন্ত করে পদক্ষেপ করতে হবে। পাশাপাশি এফআইআর করে তদন্ত করার সুপারিশও দেওয়া হয়। কমিটির পর্যবেক্ষণ- সিপিএম প্রার্থী কাশ্মীরার বিরুদ্ধে দাঁড়ানো তৃণমূল প্রার্থীর লুৎফার বেগমের ওবিসি সার্টিফিকেটও ভুয়ো। সেই নিয়ে এসডিওর কাছে অভিযোগ করা হয়। কিন্তু তিনি কোনও পদক্ষেপ করেননি।
এর আগেই ওই বিডিও এসডিও-র বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন উলুবেড়িয়াররই ২ নম্বর ব্লকের দুই সিপিএম প্রার্থী ফিরোজা বিবি ও ওমজা বিবি। পঞ্চায়েত নির্বাচনে তাঁদের মনোনয়নপত্রে ইচ্ছাকৃত বিকৃতি ঘটানো হয়েছে বলে অভিযোগ ছিল। স্ক্রুটিনিতে তাঁদের নাম বাদ যায়। এরপর বিডিওর কাছে অভিযোগ জানাতে গেলেও অভিযোগ তিনি শোনেনি। সেই নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই দুই সিপিএম প্রার্থী। বিচারপতি অমৃতা সিনহা এই মামলাতেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তবে পরে ডিভিশন বেঞ্চ বিচারপতি সিনহার নির্দেশের ওপর অন্তর্বতীকালীন স্থগিতাদেশ দেয়।