এসএসসি গ্রুপ সি-র ৮৪২ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শনিবার বিকেল ৩টের মধ্যে এঁদের নিয়োগপত্র বাতিল করতে হবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে। আগামী ১০ দিনের মধ্যে ওয়েটিং লিস্টে থাকা চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে থেকেই নতুন নিয়োগ করতে হবে।
গত ৩ মার্চ কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে গ্রুপ সি মামলায় হলফনামা দিয়েছিল কমিশন। আদালতে কমিশন জানিয়েছিল, ২০১৬ সালের গ্রুপ সি পদে নিয়োগে আর এসএসটি পরীক্ষার্থীদের নম্বরে হেরফের রয়েছে। ওএমআর শিটের প্রাপ্ত নম্বরে সঙ্গে কমিশনের থাকা নম্বরের কোনও মিল নেই।
তারপরই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় কমিশনকে নির্দেশ দেয়, অবিলম্বে গ্রুপ সি পরীক্ষার্থীদের ওএমআর শিট পরীক্ষা করে প্রকাশ করতে হবে। এ জন্য নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেন বিচারপতি। তিনি বলেন, আগামী ৯ মার্চের মধ্যে কমিশনকে তাদের সরকারি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কমিশন সেই তালিকা প্রকাশ করে।
শুক্রবার সকালে এই গ্রুপ সি মামলায় অভিযোগ ওঠে ৫৭ জনের চাকরি সুপারিশ দেয়নি কমিশন। এদিনের মামলার শুনানিতে বিষয়টি উত্থাপন হতে বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি প্রশ্ন করেন, ‘সুপারিশপত্র ছাড়া কীভাবে চাকরি পেলেন এই ৫৭ জন? কে তাঁদের চাকরি দিল?’ তারপরই শুনানি মুলতুবি হয়ে যায়।
তার আগে অবশ্য বিচারপতি দু’ঘণ্টার মধ্যে ওই ৫৭ জনের তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশ মতো তালিকা প্রকাশ করেছিল কমিশন।
গ্রুপ সি নিয়োগ মামলায় এর আগে ৩৪৭৭ জনের ওমআরশিট প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। দেখা গিয়েছে, তার মধ্যে ৩৪১৫ জনের ওএমআর শিটই বিকৃত করা হয়েছে। এ ছাড়া ৫৭ জনকে কোনও সুপারিশ পত্র ছাড়াই নিয়োগ করা হয়েছে। ওই ৫৭ জন এবং ওএমআর শিট বিকৃত করার ফলে চাকরি পাওয়া ৭৮৫ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিল আদালত।