ইউজিসি নির্ধারিত যোগ্যতা নেই, এই অভিযোগে যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ল কলেজের অধ্যক্ষা সুনন্দা ভট্টাচার্য গোয়েঙ্কাকে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কলকাতা হাইকোর্টের একক বেঞ্চের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করেছিলেন সুনন্দা ভট্টাচার্য গোয়েঙ্কা। সেই মামলাতেই বুধবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ খারিজ করে দিয়েছে বিচারপতি তপোব্রত চট্টোপাধ্যায় এবং বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ।
অধ্যক্ষাকে অপসারণের সঙ্গেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায় ছিল যে, সুনন্দাদেবীর দফতরেও তালা ঝোলাতে হবে। কলেজে তিনি প্রবেশ করতে পারবেন না। অক্টোবর মাস থেকে বেতনও পাবেন না। পুরো বিষয়টি হবে আদালত নিযুক্ত স্পেশাল অফিসারের তত্ত্বাবধানে। এ দিন ডিভিশন বেঞ্চে জানিয়েছে, আগামিকাল (১২ অক্টোবর) সকাল ৯ টায় আদালত নিযুক্ত স্পেশাল অফিসার অধ্যক্ষার দফতরের তালা খুলে দেবেন। ওই দিন থেকেই অধ্যক্ষা সুনন্দা ভট্টাচার্য গোয়েঙ্কা ফের কলেজে প্রবেশ করতে পারবেন। স্পেশাল অফিসার তাঁকে সব দায়িত্ব বুঝিয়ে দেবেন। অক্টোবরের স্বাভাবিক বেতনও মিলবে।
আরও পড়ুন- এবারও পিতৃপক্ষেই পুজো উদ্বোধন করবেন মমতা, তবে গত বছরের সঙ্গে ফারাক একটাই
ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে কার্যকর হল কিনা সেটি আগামী শুক্রবার আদালত নিযুক্ত স্পেশাল অফিসাকে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে। অক্টোবরের মধ্যে কলেজের শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের বেতন দেওয়ার বিষয়ে কলেজের গর্ভনিং বডিকে সিদ্ধন্ত গ্হণ করতে হবে।
এছাড়াও ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ- কলেজে অশান্তিকর সব পরিস্থিতি এড়াতে চারু মার্কেট থানার ওসিকে নজর রাখতে হবে।
কোন যুক্তিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ খারিজ?
ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, যেখানে কলেজ কমিশনের রেকমেন্ডেশনে ২০১৫ সালে সুনন্দা ভট্টাচার্য গোয়েঙ্কাকে যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ল কলেজের অদ্যক্ষা পদে নিযুক্ত হয়েছিল, সেখানে শুধুমাত্র টেলিফোনে কথা বলেই অধ্যক্ষাকে অপসারণের সিদ্ধান্ত ঠিক নয়।
ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, অধ্যক্ষা অপসারণের মূল মামলার শুনানি হবে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসেই। তিনিই এই মামলায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।