বগটুই হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালন শেখের সিবিআই হেফাজতে মৃত্যুর তদন্ত করবে সিআইডি-ই। আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়ের রুজু করা জনস্বার্থ মামলা খারিজ করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তের উপরেই আস্থা রাখলেন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ।
ভাদু শেখ হত্যার পর বগটুই গ্রামের একাধিক বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া ও ১০ জনের দগ্ধ মৃত্যুর ঘটনায় লালনের হাত ছিল বলে অভইযোগ। গত মার্চে এই ঘটনার পর থেকে ফেরার ছিলেন লালন। ৪ ডিসেম্বর লালনকে ঝাড়খণ্ড থেকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। গত ১২ই ডিসেম্বর বগটুই হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালন শেখের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় রামপুরহাটে সিবিআইয়ের অস্থায়ী শিবিরে। যা নিয়ে হুলস্থূল বেঁধে যায়। সিবিআই দাবি করে, লালন হেফাজতে আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু সিবিআইয়ের আত্মহত্যা তত্ত্ব মানতে নারাজ লালনের স্ত্রী রেশমা বিবি। তাঁর দাবি খুন করা হয়েছে স্বামী লালন শেখকে। রেশমার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগে মামলা রুজু করে। অভিযুক্ত করা হয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার সাত আধিকারিককে। যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করে সিবিআই।
লালন মৃত্যুর ঘটনায় আদালত যেন বিচারপতির নেতৃত্বে আলাদা কমিটি করে স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষ তদন্ত করে দেখে। এইসবের মধ্যেই এই আর্জিতে জনস্বার্থ মামলা করেন আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়। তবে বুধবার সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। বদলে সিআইডিকেই তদন্ত চালিয়ে যেতে বলা হয়েছে।