কোন মামলায় স্বস্তি শুভেন্দুর?
অগস্টে যায়দপুরের প্রথমবর্ষের ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় হয় রাজ্য। প্রতিবাদে মুখর হয়েছিল বিজেপি। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পদ্ম বাহিনীর তরফে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই কর্মসূচি ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। অভিযোগ, সেই সময় পুলিশের উদ্দেশে বিরোধী দলনেতার বক্তব্য নিয়ে অভিযোগ ওঠে। এরপরই তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর করতে চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল যাদবপুর থানার পুলিশ। সেই মামলাতেই স্বস্তি পেলেন শুভেন্দু অধিাকরী। পুলিশের করা আবেদন খারিজ করেছে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের বেঞ্চ।
বিচারপতির পর্যবেক্ষণ-
বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের পর্যবেক্ষণ, শুভেন্দু অধিকারী ওইদিন উত্তেজনার সময় যে ভাষা প্রয়োগ করেছেন, তা নির্দিষ্ট ভাবে কারও উদ্দেশে নয়। খুব সাধারণভাবেই ওই ভাষা ব্যবহার করেছেন বিরোধী দলনেতা। তবে এমন পদমর্যাদার মানুষদের পাবলিক প্লেসে এ ধরণের মন্তব্য না করাই উচিত। কারণ সে ক্ষেত্রে ওই ব্যক্তির পদের প্রতি মানুষের ধারণা নেতিবাচক হতে পারে। তবে শুভেন্দু অধিকারীর সেদিনের কু-মন্তব্যের জন্য তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার কোনও ধারা প্রয়োগ করা যায় না।
সুপ্রিম নির্দেশ
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে কোনও নতুন এফআইআর করতে গেলে আদালতের অনুমতি নিতে হবে। পরে পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মামলা হলে কলকাতা হাইকোর্ট বলেছিল, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে প্রমাণ থাকলে এফআইআর করা যাবে। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হয়েছিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। গত অগস্ট মাসে শীর্ষ আদালতে খারিজ হয়ে যায় কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ। অর্থাৎ এফআইআর করার নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।